ক্ষমতা এই শব্দটি শুনতে যেমন শক্তিশালী বোঝায় ঠিক তেমনি এই ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিত্বের চরিত্র ও খুব শক্তিশালী হয়।এই ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা প্রত্যেক দেশের নানা স্থানে নানা পদে বসে থাকেন জনসাধারণের অস্তিত্ব সুরক্ষিত ভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।যেমন আদি মধ্যযুগে রাজারা থাকতেন ক্ষমতায় ঠিক তেমনি আজকের বর্তমান দিনে নানা শিক্ষাগত জ্ঞানে দক্ষতাপ্রাপ্ত সরকারি কার্যকর্মীরা বসে আছেন ক্ষমতায় নিজস্ব দেশের জনসাধারণের অস্তিত্ব সুরক্ষিত করে সুসজ্জিত ভাবে রেখে
দেওয়ার জন্য।যাতে বাইরের কোনো স্বার্থলোভীরা এই দেশের জনসাধারণের অস্তিত্ব সহজেই ক্ষুণ্ণ না করতে পারে বলে।আর জনসাধারণের এক একটি ভবিষ্যতকে চিন্তাধারা করে নানা পদ ও পদ অনুযায়ী শিক্ষাগত দক্ষতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ক্ষমতায় রাখা হয় দেশের সরল জনসাধারণের সুপরিকল্পিত ভাবে সুরক্ষা করার জন্য।কিন্তু এই ক্ষমতা হল এমন অনুভূতিশীল জিনিস যে তার সংস্পর্শে এলে বিজ্ঞ থেকে বিজ্ঞ শিক্ষাগত জ্ঞানে দক্ষতাপ্রাপ্ত হোক বা শক্তিশালী বলগত আর ধনসম্পূর্ণ তাঁদের বিচারগত মানসিক চেতনার সেই চিন্তাধারাকে এই ক্ষমতার অহংকার নষ্ট করেই ফেলে।
উদাহরণ স্বরূপ আমাদের দেশের ইতিহাস পড়লে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন।তার মধ্যে বর্তমান দিনের নানা পদে বিরাজমান হয়ে বসে থাকা ক্ষমতাশালী কর্মচারীদের শিক্ষাগত দক্ষতা কী জিনিস।
"ক্ষমতার সিংহাসন কোনো অভিমানের জ্বালে পড়ে নিজের মানসিক চেতনার সাথে নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করার সিংহাসন নয়।ক্ষমতা সিংহাসন হল নিজস্ব মানবিক ব্যক্তিত্বের সাথে সাথে সরল জনসাধারণের মর্যাদা সুরক্ষা করে দিশাহীণ জনসাধারণের সঠিক দিশার পরিচয় করানোর ব্যক্তিত্বের পদের আসন যা কর্তব্যপূর্ণ ভাবে শাসন করলে সেই ব্যক্তিত্ব রাম ভগবানের নামে ঠাকুরের আসনে চিরন্তকালের জন্য বিরাজমান হয়ে থাকেন।যদি নিজস্ব ক্ষমতার উপর অভিমান,অহংকার অন্ধকারের পর্দা ঢেলে রেখে থাকে কোনো ক্ষমতাশীল সিংহাসনের ব্যক্তিত্ব তাহলে পরিণামে নিজের কূলের অস্তিত্ব নিয়েই সংশয়ে থেকে যাবে নিজের ব্যক্তিত্বকে নিজেই হাঁসিরপাত্র বানাবে এই বিশ্বে রাবণের মতো।"