top of page
Search

পরিশ্রম

Updated: Feb 20


কাহিনীর  মূল বিষয়ের সংক্ষিপ্তসার

 

এই কাহিনীর লেখিকা তার জীবনে চারিদিকে এক নতুন পরম্পরা যা এখন প্রায় বাস্তব জীবনে সব দেশের সব নাগরিকের বাড়ি বাড়ি গুলোতে চলা নতুন পরম্পরা যা বর্তমানকালের জীবন ধরণকেতো সমস্যার সম্মুখীন করতেছেই এই পরম্পরা ভবিষ্যৎকেও এক ভয়ানক সমস্যার মধ্যে মানব জাতিকে জড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে এই সমস্যা যদি আমি সবার সামনে তুলে ধরি তাহলে এক মুহূর্তের জন্য এক শ্রেণির লোকেরা হেঁসে পড়বেন যে এত ছোট সমস্যা নিয়ে কেউ বই লিখে নিজের বক্তব্য রাখতে পারে এই উন্নতশীল আধুনিকীকরণের বিশ্বে।

 

এই ছোট সমস্যার বিষয় শুরু করার আগে এই সমস্যার জন্য পরিবারের লোকের কষ্টের কাহিনী আমাদেরকে আগে যেনে নিতে হবে যে তারা বর্তমানে কত কষ্ট করে এই একটি ছোট সমস্যাটি অবহেলনা ভবিষ্যৎতে এক ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে তার উপর একটু নজর রাখি।

 

এক পরিবারের একজন প্রধান পুরুষ যিনি একজন পিতা উনার কষ্টের কাহিনীঃ

এক পিতা বলেন যে উনি তার পরিবারের সন্তানের ভরণপোষণের জন্য কত বাইরের কষ্ট সয্য করে নিজের পরিবারের পেটের জন্য খাবার জোগাড় করলাম।

 

এক নারী যিনি পরিবারের মূল মাতৃকর্তা যিনি নিজের পরিবারের জন্য নিজের আস্তিত্ব মা রূপে পরিবর্তন করেন উনার কষ্টের কাহিনীঃ

এক মাতা বলেন যে উনি ঘরের কাজের সাথে রান্নাবাটির কষ্ট সয্য করে নিজের সন্তানের ভরণপোষণের জন্য খাবার তৈরি করলাম।

 

এক সন্তান যিনি পিতা মাতার আদর্শ অনুসারে এই প্রকৃতির পরিবেশে বড় হওয়ার সাথে সাথে সমাজের নানা রীতিনীতি পরিকাঠামোগুলির অনুসরণ করে এক একটি বয়সে এক এক ধরনের চরিত্র সুন্দরভাবে পালন করে নিজের পরিচয়ের সাথে পিতা মাতার নাম পরিচয় নিজের সাথে যুক্ত করে বেঁচে থাকে।

এক সন্তান বলে যে সে কত কষ্ট করে পিতা-মাতার দেওয়ার খাবার পেট ভরে খেয়ে নিলাম।

 

একদিকে রয়েছে এই কাহিনীর মূল চরিত্র “খাদ্যশস্য”।খাদ্যশস্য এক ধরনের ছোট বীজ যা অন্ন্যগ্রহনের সামাগ্রি হিসেবে চিহ্নিত।এই ছোট বীজগুলো এক একটা সময়ে এক এক ধরনের আবহাওয়া জটিল মাটি নানা ধরনের সার আদি দিয়ে নিজের অঙ্গরোদগমন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে ফসল তৈরি হওয়া,ফসল কাঁটা অব্দি নানা ধরনের কষ্ট নিঃস্বার্থ ভাবে সয্য করে।যাতে প্রাণীজগতের জীববস্তুরা তাদেরকে অন্ন্যরূপে খেয়ে নিজের প্রাণ নিজের পরিবারের সন্তানের প্রাণের ভরণপোষণ ভালো ভাবে করতে পারে।কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে এই ব্যপারে অন্ন্যের খাদ্যশস্যকে কেউ প্রশ্ন করে না যে সে মানুষের সন্তানের পেটের খিদা সন্তানের ভরণপোষণের জন্য কত সময়ের কষ্ট সয্য করে আসছে প্রত্যেক বাড়ির থালি গুলোতে।

 

আর এই সব বাড়ির পরিবার চালানোর মধ্যে সর্বচ্চো দায়িত্বপূর্ণ কাজ করে আমাদের দেশের কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগণ,রাজনীতিবিদগণ তারাও তাদের মতো কাজকর্ম অনুযায়ী  যতটুকু সম্ভব পারেন  জনসাধারণের কল্যাণ করারই চেষ্টা করেন।

এই কষ্টের কাহিনীর প্রত্যেক চরিত্রের সমস্যাগুলি সামান্য হলেও আমরা জানতে পারলাম।

এখন আমরা কাহিনীর আসল সমস্যাটি কী জিনিস নিয়ে তৈরি যা আমাদের বর্তমান কালের সাথে সাথে ভবিষ্যৎকাল ও সংকটে নিয়ে যেতে পারে তার উপর একটু নজর রাখবো।

 

এই কাহিনীতে প্র্যতেক চরিত্রই নিজের নিজের ক্ষেত্র গুলিতে কষ্ট করে আছে শুধু মাত্র পেটের খিদা মেটানোর জন্য কিন্তু এত কষ্ট সবাই সয্য করার পর যখন থালি ভরা খাবার নিয়ে যে কোনো দেশের যে কয়েকটি নাগরিকের বাড়িতে যখন খাবার গ্রহনের জন্য বসে পরিবারের সদস্যগণ তখন কী সবার বাড়ি গুলোতে সবার থালি গুলোর খাবার শেষ হয়ে থাকে কী………।

আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারবো যে বাড়ির পরিবারের সদস্যগণের মধ্যে কেউ না কেউ খাবার ফেলায় অপচয় করে থাকে।কারণ এই দৃশ্য আমি আজ পর্যন্ত যত বাড়িগুলোর পরিবারের খাবার গ্রহনের ব্যবস্থা আছে তত গুলোতেই দেখেছি।এর সাথে সাথে যত Hotel, Resturent, Guest House গুলোতেতো আছেই তার সাথে সাথে বিয়ে বাড়ি, পূজার বাড়ি নানা অনুষ্ঠান গুলিতে এই খাবারের অপচয় এর দৃশ্য এখনকার দিনে একটা নতুন Modern Culture হয়ে গেছে বললেও চলে।কিন্তু কেউ এই বিষয় নিয়ে ভাবে না যে অল্প অল্প করে এই খাবার অপচয়ের পরিণাম আমাদেরকে এক ভয়ঙ্কর সমস্যার মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে যা থেকে বাঁচা হয়তো মানবজাতির পক্ষে অসম্ভব হতে পারে।  

 

ভবিষ্যৎতে এই সংকটের কী রূপ দেখা যাবে সে কথাতো আপনারা ছেড়েই দিন বাস্তব সময়েই এক শ্রেণীর কৃষক,ব্যবসায়ীগণ,রাজনীতিবিদ খাবারের এত বেশি চাহিদা কি ভাবে  পূরণ করা যায় তা নিয়ে নানা পরিকল্পনা গুলি সরকারি ভাবে ও বেসরকারি ভাবে নানা চেষ্টা গুলি চালিয়ে শস্যখেত গুলিতে জৈবিক সারের বদলে রাসায়নিক সার,বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিকরণের গবেষণার পরিণামের সাফল্যের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বীজ Original থেকে Hybrid শস্যবীজে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া উন্নত ধরনের শস্যবীজ কার্যকরী করে এদের সাহায্যে নানা ধরনের Hybrid খাবার বাজারে আনতে শুরু করেছে যার ফলে মানুষের স্বাস্থ্য তো খারাপ হচ্ছেই, এর ফলে খেতের মাটির উর্বরতা,Original শস্যবীজের অস্তিত্ব,প্রকৃতির আবহাওয়া বাতাবরণের উপর ও এর খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু হয়ে গেছে।   

 

আমাদেরকে মিলে মিশে এই আমাদের সমাজে চলে থাকা নতুন পরম্পরা যা আমাদের বর্তমানকালতো খারাপ করতেছেই ভবিষ্যৎকাল ও কিন্তু খারাপ করতে না পারে তার জন্য এই পরম্পরা ত্যাগ করার মানসিকতাবোধ অর্জন করে নিতে হবে কোনো রকমের বিলম্ব না করেই।   


 

পিতার পরিশ্রমের কাহিনীঃ

 

পিতাকে বাড়ির পরিবারের প্রধান পুরুষ বলা হয়। শুধু এর জন্য না যে উনি বাড়ির পরিবারের মধ্যে সব চেয়ে বড়।উনাকে প্রধান পুরুষ বলার পিছনে উনার প্রধান প্রধান ভুমিকা গুলি রয়েছে একজন পিতা জন্ম থেকেই পিতা রূপে চিহ্নিত হন না।

 

একজন ছেলে যখন সন্তানের রূপে জন্ম হয় তখন থেকে তার এই সমাজের সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায় যে সে এই সমাজের পুত্র সন্তান তার উপর সমাজের নানা কর্তব্য গুলির শৃঙ্খলা মেনে কী ভাবে সে তার সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হওয়া বয়সের এক একটি মুহূর্তের ব্যবহার এই জটিল সমাজের সাথে খাপ খাওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার জন্য নানা সমস্যার সম্মুখীন হলেও কোনো দিন সেই সমস্যার কাছে হার না মানার সাহসিকতা যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে এক পুত্র থেকে এক দাদা বা ভাই হয়ে,কখনো এক ভালো বন্ধু হয়ে, কখনো ভালো স্বামী বা জামায় বাবু হয়ে আবার কখনো এক প্রধান পুরুষ পিতা ঠাকুরদাদা হয়ে উনি উনার মর্যাদা গুণাবলীর ভুমিকা এক এক সময়ে এক এক ভাবে দিয়ে থাকেন।  

 

একজন পুত্র হয়ে জন্ম নেওয়ার পর এক ছেলের জিবনে নানা ধরনের কৌতূহল,দুষ্টমি, খেলাধুলা,পড়াশোনা,নাচ-গান,প্রভৃতি গুণাবলির উদাহরণ দেখা যায় সময়ে সময়ে বদলে যাওয়ার চরিত্রের উপর।একজন ছেলে যখন ছোট থাকে তখন সে পরিবারের এক অমূল্য রত্ন হিসেবে গণ্য হয়।সেই ভাবেই তার বাড়ির পরিবারের সদস্যগণ তাকে ভালো ভাবে যত্ন করে ভালো সংস্কারগুলির সাথে তার লালনপালন করে তাকে বড় করে তোলে।

যাতে ছেলে বড় হয়ে ভবিষ্যৎতে তার মাতা পিতার সাথে সাথে সমস্ত পরিবারের দেখাশোনা করতে পারে বলে।  

আর একদিকে ছেলে যখন বড় হতে থাকে তার সাথে সাথে তার সময়ে সময়ে বদলে যাওয়া চরিত্রের মধ্যে সে এক বন্ধু ও হয়ে যায় আর বন্ধু-বান্ধবীরাতো হল পরিবারের অপর এক নাম পরিবার যা ভালো ভাবে টিকে থাকলে আজীবন পরিবারের মতনই সঙ্গে চলতে থাকে।

আর বন্ধুরাও এই আশায় সাথে হয়ে চলে যে তারা কোনো দিন সমস্যার মধ্যে পড়লে তাদের হাত সে কোনো দিন ছাড়বে না জিবনের কোনো মুহূর্তে সমস্যা হলে সে সব সময় পাশেই থাকবে।

 

সময়ের সাথে সাথে এক ছেলের স্বামী রূপেও তার এক চরিত্র থাকে।এই ভুমিকাতে সে শুধু নিজের পরিবার নিজের আত্মিয়জন নিজের বন্ধু বান্ধবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না।সে যে মেয়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে বেধে যায় সেই মেয়ের পরিবার আত্মীয়পরিজনের সাথে ও সে এখন মিলে মিশে যায়।এই বিবাহ বন্ধনের ফলে তার জিবনে নতুন নতুন ব্যাক্তিদের যে আগমন হয় শুধু মাত্র তাই নয় এর সাথে সাথে নতুন নতুন বন্ধনের কর্তব্য পালনের দায়িত্বভার ও তার বেড়ে যায়।বিবাহের আগে যে ছেলে শুধু বাড়ির ছেলে দাদা ভাই,বন্ধু বান্ধবিদের বন্ধু হিসেবেই পরিচিত হলেও বিবাহের পরে সেই ছেলে কোনো একজন কন্যা মেয়ের স্বামী রূপে,মেয়ের বাড়ির  জামায় বাবু রূপে,সেই মেয়ের সন্তানের পিতা রূপেও সে পরিচিত হয়।  

এই সব সময়গুলিতে তার যে ভুমিকা থাকে বিবাহের আগের পরিচয় বিবাহের পরের পরিচয় সেই ভুমিকাগুলি একজন ছেলে মানুষকে ভালো ভাবে হৃদয় দিয়ে কর্তব্য সম্মানের সাথে পালন করে আজীবন বাঁচতে হয় এই সমাজে।  

 

একজন ছেলে মানুষের সময় অনুযায়ী যা যা চরিত্র থাকে সেই সব চরিত্র গুলির মধ্যে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হল পিতার চরিত্র।কারণ একজন ছেলে মানুষ হিসেবে এই সমাজে নানা বাধা বন্ধন থেকে তাকে ছাড় হলেও একজন পিতা হিসেবে পরিচিত হওয়ার পর তার কোনো ছাড় হয় না।কেননা একজন ছেলে মানুষ থাকার সময় সে হয়তো বাড়ির পিতামাতার  সংস্কারসম্পন্ন ছেলে হতে পারলো কী না,ভালো দাদা বা ভাই এর ভুমিকা সে পালন করলো কী না,বন্ধু বান্ধবিদের ভরসা সে জয় করতে পারল কী না,ভালো স্বামী বা জামায়বাবু হওয়ার কর্তব্য হয়তো সে ভালো ভাবে পালন করলো কী না সমাজের নানা কার্যভার সহযোগিতা, চাকরির অনুসন্ধান,কাজের অনুশাসন প্রভৃতি সে হয়তো ভালো ভাবে না ও পালন করতে পারে।কিন্তু একজন পিতার কর্তব্য যে কোনো খারাপ থেকে খারাপ পরিস্থিতির ছেলে হোক না কেন সে নিজের পিতা হওয়ার খুশির খবরে নিজেকে শোধরায় ভালো ভাবে পিতা হওয়ার কর্তব্য পালন করতে শুরু করে আর নিজেকে একজন  আদর্শ পিতায় পরিবর্তিত করে তোলে। 

 

একজন পিতা হওয়ার আগের চরিত্র গুলিতে একজন ছেলে মানুষের মধ্যে নানা অনুশাসন মানার যোগ্যতা না থাকলেও একজন পিতা রূপে যখন সে এই সমাজে পরিচিত হয় তখন থেকে অনুশাসন,কর্তব্য ক্রিয়াকাজের দায়িত্বভারগুলি কী জিনিস সে এখন শিখে শুধু তাই নয়,সে তার সন্তানকেও শিখায় থেকে।এই সমাজের নিয়ম কায়দা,ধর্মীয় সংস্কার,পরিবারের, আত্মীয়পরিজনের  প্রয়োজনীয়তা নানা বন্ধনগুলির মর্যাদা এই সব শিক্ষার জ্ঞান দিয়ে থাকে তার নিজের সন্তানকে।

শুধু পরিবারিক,সামাজিক শিক্ষা দিলেই তার সন্তানের শিক্ষাগত জ্ঞানের বিকাশে ভরণপূরণ হবে এই জ্ঞান এক পিতার মধ্যে ভালো ভাবেই থাকে।তার জন্য নিজের সন্তানকে বাড়ির গণ্ডি থেকে বাইরে নানা শিক্ষার পরিকাঠামোর প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভরতি করে পড়াশোনা করার জন্য দিয়ে দেয়।এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরিবারের সদস্য ছাড়া নতুন জনসাধারণের সাথে সন্তানকে থাকতে হয় সেই স্থানে।কিন্তু সন্তানকে একমাত্র পিতার উপস্থিতি দরকার হয় অন্য সদস্যের থেকে বেশি পিতার নামের উপস্থিতিতো লাগবেই সেই সব স্থানে আর লাগে পড়াশোনা অনুযায়ী খরচও এই সব খরচগুলির দায়িত্ব বেশি ক্ষেত্রে পিতারাই পূরণ করে থাকেন।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির খরচের জন্যই পিতার অব্যসক্তা হয় তা নয়,সন্তানের মায়ের গর্ভঅবস্থাতে থাকা কালীন অবস্থার সময় থেকেই একজন আদর্শ পিতা নিজের সন্তানের নিজের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য কত বাইরের কষ্ট সয্য করে নিজের পরিবারের পেটের জন্য খাবার জোগাড় করে থাকেন।একজন শিশু সন্তানের জন্ম নেওয়ার পরে যে খুশি পিতা মাতা ভোগ করেন তার  চেয়ে বড় খুশি হয়তো এই সংসারে ওদের জন্য হতে পারে না। ওই সন্তানের সুন্দর চেহারা,ওই সন্তানের হাসি তাকে দেখতে দেখতে বড় হওয়া তার হাত,পা তার  মায়া ভরা কথাবার্তা,কান্নাকাটিগুলো দেখে তাকে না ছাড়তে ইচ্ছা করলেও একজন আদর্শ পিতা হওয়ার জন্য তার এক একটি ভরণপোষণের খরচের জন্য না চেয়েও সন্তান থেকে একজন পিতাকে বাড়ির বাইরে দূরে যেতেই হয় কাজ করে সংসার খরচ চালানোর জন্য।সংসারের খরচ জোগাড় করার জন্য সব পিতারাই চাকরিজীবী হন তা নয়।কেউ খেতে চাষি করা,কেউ অন্যের বাড়িতে মিস্তিরি,লেবার করা,কেউ মধ্য রাত্রেও পাহাড়ে জঙ্গলের রাস্তাতে নিজের ঘুম ছেড়ে সামানপত্র গাড়িতে করে একস্থান থেকে অন্য স্থানে রূপান্তরিত করা,কেউ বা অন্যের জুতো সিলাই করে,কোনো কোনো সময় পরিস্থিতি,জায়গা এমন ও থাকে যে নিজের জিবনের ঝুঁকি নিয়েও তারা পরিবারের  জন্য  ওই সব কাজ করে থাকেন সংসার চালানোর জন্য।পরিবর্তিত হওয়া সময়ের সঙ্গে নিজের ইচ্ছা,স্বপ্নগুলি ভুলে গিয়ে ওই সব স্বপ্নগুলি  নিজের সন্তানের উপরই দেখতে শুরু করেন। 

 

উনি নিজের সন্তানের সাথে সাথে নিজের সন্তানের বিয়ের পরে যে সন্তান হয় যা উনাদের নাতি,নাতিনি হিসেবে পরিচিত তাদেরকেও সেই ভাবেই নিজের সন্তানের থেকেও বেশি করে মায়া মমতা দিয়ে স্নেহের সঙ্গে লালনপালন করে থাকেন।যার জন্য পিতা নিজের পুরো জিবন নিঃস্বার্থ ভাবে অতিবাহিত করে থাকেন পিতা,ঠাকুরদাদা রূপে পরিচিত হয়েই। 

 

নিজের সন্তান নিজের পরিবার যেন তার সৎকার্যের পরিশ্রম থেকে রোজগার করা টাকা দিয়েই তাদের জিবন চালায়।ভবিষ্যৎতে তার সন্তানরা যেন সৎ মানুষ হয়ে সমাজে ভালো শিক্ষিত মানুষের মতোন কাজ করে উচ্চস্থানে তার সন্তানের ক্রিয়া কাজকর্মগুলি হোক,সমাজে তার সন্তানের বড় মর্যাদা হোক তার সন্তানকে কেউ প্রশ্ন না করতে পারে যে ওর পিতা ওদের জন্য কিছুই করে দেয় নি।এই সব চিন্তাধারাগুলি মনে রেখে একজন আদর্শ  পিতা তার পক্ষে যা  সম্ভব  তার চেয়েও বেশি কষ্ট করে থাকে সব সময় নিজের সন্তান নিজের পরিবারের জন্য।

 

একজন চাকরিজীবী পিতা হোক বা একজন চা বিক্রি করে সংসারিক খরচ কামাই করা পিতা সব পিতার পরিশ্রম,নিঃস্বার্থ বলিদান নিজের সন্তানের,নিজের পরিবারের জন্য সমান থাকে। তারা এই সংসারের সব কষ্টগুলি প্রথমে নিজের সাথে নিয়ে নেয়,যাতে বাড়িতে তার পরিবারের সদস্যরা আনন্দে থাকতে পারে।তারা নিজেদের কার্যক্ষেত্র গুলিতে নানা বাঁধা,পরিশ্রমের কষ্ট থাকলেও পরিবারের সামনে সব সময় হাঁসির মুখেই নিজের বক্তব্য রাখেন ও শুনেন। পরিবারের সদ্যস্যরা কোনো বিপদ-আপদে পড়লে প্রথমে পিতা সাহসের সাথে দাড়িয়ে থাকেন সব সময় সবার পাশে।আর ওই সব ধরনের বাইরের বিপদ থেকে নিজের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য পিতা বাড়ির প্রধান পুরুষ শুধু হন তা নয়,উনি বাড়ির সন্তানের পরিবারের সদ্যস্যদের মূল সাহস ও হন।   


 

মায়ের পরিশ্রমের কাহিনীঃ

 

মাতা বা মা এমন একটা শব্দ যার তুলনা এই পৃথিবীতে কোনো সর্গের পূজনীয় দেবী থেকে কম নয়।মা শুধু সন্তানের জন্য মা তাই নয় উনি হলেন এই জগৎতের জননী মাতা যার আশীর্বাদে সন্তানের সাথে সাথে পুরো জগৎতের ভারসাম্য রক্ষা হয়ে থাকে।সন্তানের ক্ষেত্রেতো মাতার আশীর্বাদ কোনো দেবদেবীর আশীর্বাদ থেকে কম থাকে না তাদের জিবনে।

 

একজন মাতার ভুমিকা একটি বাড়ির পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উনার উপস্থিতি সন্তানের জিবনের জন্য বড় প্রভাব দিয়ে থাকে।মাতা যে সংস্কারগুলি দিয়ে সন্তানকে প্রতিপালন করে থাকেন সেই আদর্শগুলি অন্য এক মাতা পিতা রূপে আমরা আবার দেখতে পেয়ে থাকি সময়ে সময়ে একের পর এক Generation ধরে।

 

পরিবারে যদি সন্তানের রূপে যখন কন্যা সন্তানের জন্ম হয় তখন সবার বাড়িতেই খুশির আনন্দের মাহল থাকবে তার কোনো Guarantee থাকে না।একজন কন্যা রূপে সংঘর্ষ করে বাঁচার প্রক্রিয়া একজন কন্যা সন্তানের জন্য শুরু হয়ে যায় এই পৃথিবীতে জন্ম নেওয়ার সাথে সাথেই।একজন কন্যাকে তার বাড়ি থেকেই এই সংঘর্ষময় জীবনের পথ শুরু করতে হয় তার জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যায় অব্দি।

 

একজন কন্যা জন্ম থেকেই মা হয়ে জন্ম নেয় না।একজন কন্যা নিজের ইচ্ছা নিজের জিবনের নানা বলিদানগুলির পরেই মা হন।তিনি সন্তানের জন্যই শুধু মা হন তা নয় উনার জিবনে এক একটা সময়ের এক একটা চরিত্রের কার্যকলাপ গুলিতে উনার মমতার স্নেহের পরিচয় আমরা পেয়ে থাকি নানা ভাবে।

একটি পরিবারে সন্তানের রূপে একজন কন্যা জন্ম নেওয়ার পর সে প্রথমে পরিবারের এক লক্ষ্মী রূপে সব পরিবারের সদস্যের মন জয় করে নেয়।তার সুন্দর সুন্দর চোখ,নাক,কান,মুখ,তার সুন্দর চেহারা তার থেকেও বেশি তার সুন্দর হাঁসি,তার হাঁসি,কান্না ভরা কথাবার্তা শুনে যত বাড়ির  পরিবারের সদস্য আছে তারা সবাই মোহিত হয়ে যান।তার সাথে সাথে আত্মীয়পরিজন,আশেপাশের প্রতিবেশী সবাই ও তার ওই সুন্দর সুন্দর কথাবার্তা স্বভাবে মোহিত হয়ে যায়।পরিবারের আদর্শ অনুযায়ী সে বাড়ি থেকেই  শিক্ষা সম্বন্ধে সে ভালো ভালো সংস্কারগুলি শিখতে শুরু করে নেয়।সময়ের সাথে সাথে সে বড় হয়ে যখন স্কুল যেতে শুরু করে তখন তার মধ্যে আরও বেশি এই জগৎকে ভালো ভাবে দেখার,চিনে বোঝার উৎসাহ বাড়তে থাকে।    

 

কন্যা হয়ে জন্ম নেওয়ার পর বাড়ির শিক্ষাতো তাকে শিখতেই হয়,তার সাথে সাথে স্কুলের কলেজের সাথে জীবনের শিক্ষাতেও তারা কোনো ছেলে থেকে পিছনে থাকে না এর প্রমাণিতা দিতে হয় এই জটিল প্রতিযোগিতাভরা সমাজে।কন্যার শিক্ষাগত কর্মের উদাহরণ গুলি এখনও ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণ অক্ষরে লিখিত হয়ে আছে।যে কন্যা শুধু বাড়ির গণ্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ  হয়ে থাকে নি,এর প্রমাণ এখনও বর্তমান দিনে দেখতে পাই আমরা উচ্চ স্থানে উচ্চ পদে উত্তীর্ণ মহিলাদের উদাহারন স্বরূপ হিসেবে।

 

একটি নারীর জীবনে আমরা নানা চরিত্রগুলির উদাহরণ পেয়ে থাকি,যার ধারণা করা ও হয়তো অসম্ভব বলে মনে করি।কিন্তু বয়স অনুযায়ী যা যা চরিত্র তাদের সামনে আসে সময়ে সময়ে ওই সব চরিত্র তারা ভালো ভাবেই পূরণ করে থাকে,নিজের সংস্কার,নিজের কর্তব্য মর্যাদা অনুযায়ী পালন করে।  

 

একজন নারী প্রথমে কন্যা রূপে জন্ম নেওয়ার পরে নিজের বাড়ির পরিবারের সে প্রিয় কন্যা হওয়ার যা যা কর্তব্য থাকে তাকে মর্যাদা পূর্ণভাবে পালন করে থাকে।সে শুধু যে বাড়ির কন্যাই শুধু থাকে না সে বাড়ির দিদি,বোন আত্মীয়পরিজনের ভালো মেয়ে,বন্ধুবান্ধবির ভালো বান্ধবী হিসেবে ও সমাজের ভালো কন্যাসন্তান রূপেও পরিচিত হয়ে থাকে।সেই সময় সেই সব চরিত্রগুলিও সে তার আদর্শ অনুযায়ী কর্তব্যপূর্ণ ভাবে পালন করে থাকে।এর সাথে সাথে সে একজন ভালো শিক্ষার্থীর ও ভূমিকা পালন করে শিক্ষার ক্ষেত্র গুলিতে নিজের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এর সাথে সাথে নিজের পরিবারের নাম ও উজ্জ্বল করে থাকে।একজন কন্যাকে সমাজে নানা সংস্কার গুলির সাথে সাথে সমাজের নানা দিক দিয়ে সেবা ও করে থাকতে হয় একজন আদর্শ কন্যা হিসেবে পরিচিত হয়ে বাঁচার জন্য।কন্যার যখন নিদিষ্ট বয়স হয় তখন তার পিতা মাতারা ভালো ছেলে দেখে তার বিয়ে দিয়ে দেন।সেই সময় সে আবার নতুন বন্ধনের সাথে জড়িত হয়,এখন আর শুধু সে আগের মত কন্যা রূপেই পরিচিত হয়ে থাকবে সেটা এখন আর হয় না।সে এখন একটা ছেলের স্ত্রী,সেই ছেলের পরিবারের বউ,হয়ে পরিচিত হতে শুরু করে।তার সাথে সাথে বিয়ের আগে সে যে পরিবারের সদস্যের প্রিয় বন্ধুবান্ধবির,আত্মীয়পরিজনের,আশেপাশে প্রতিবেশি,সমাজের যা প্রিয় ছিল যে সংস্কার,কর্তব্য,মর্যাদাগুলি পালন করে সেই সব বন্ধন গুলির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। আবার নতুন ভাবে একটি ছেলে সেই ছেলের পরিবার সেই পরিবারের আত্মীয়পরিজন,নতুন পরিবেশ, নতুন মিত্রতা গুলির সম্বন্ধ নতুন ভাবে আবার নতুন জিবনের জন্য শুরু করতে হয় নিজের সংস্কার,কর্তব্য,মর্যাদাগুলি নতুন ভাবে পালন করে।নতুন পরিবার নতুন পরিবেশের সদস্য হওয়ার পর থেকে তার নতুন জিবনের সাথে সাথে নতুন নতুন চিন্তাভাবনা গুলিরও তার মধ্যে পরিচয় পাওয়া যায়।এর সাথে থাকে নতুন নতুন আশা,ইচ্ছা যাকে কেন্দ্র করে তার নতুন সংসার গড়ে তোলার স্বপ্ন।এর মধ্যে রয়ে থাকে বিয়ের আগের পরিবারের সদস্যের জন্য প্রেম ভালোবাসা বন্ধুবান্ধবি,আত্মীয়পরিজনের সুন্দর সুন্দর স্মৃতি।তার সাথে চলে আছে শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার,কার্যকলাপগুলির ছায়া।বিয়ের আগের জিবনের আর বিয়ের পরের জিবনের স্মৃতি গুলোর সাথে নতুন সংসারের  স্বপ্নকে বাস্তবে পূরণ করার জন্য নিজেকেও তৈরি করে চলা এই সব জিনিসকে সঙ্গে নিয়ে ভবিষৎকে সুসজ্জিত করার ক্ষমতা শুধু একজন নারীর মধ্যেই এই গুনগুলি পাওয়া যায়।

 

বিয়ে করার পরে একজন কন্যা স্ত্রী রূপে যখন তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের সঙ্গে থাকতে শুরু করে তখন তার জন্য ভগবান একটা নতুন সংসারের নতুন অভিজ্ঞতার ও দায়িত্বভার দিয়ে থাকেন।এই দায়িত্বভার পূরণ করার জন্য তাকে নানা ধরনের সংস্কার,কর্তব্যগুলি পালন করতে হয় নিজের ভালোবাসার হৃদয়দিয়ে।

একজন স্ত্রী,বউ হওয়ার কর্তব্যপালনের সাথে সাথে সে স্বামীর সাথে মিলে সংসারে কার্যভার গুলির ও দায়িত্ব নিয়ে থাকে বাড়ির কাজ,বাড়ির পরিবারের সদস্যের সাথে আত্মীয়পরিজন সেবা করা,অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের আয়োজন করা,বাড়ির সদস্য হিসেবে অন্যের অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতি গ্রহণ,প্রভৃতি গুলির সাথে সাথে কখনো কখনো বাইরের কাজও করে সে নিজের চরিত্রের আরও একটা বৈশিষ্ট্য দিয়ে থাকে।তার সাথে থাকে নিজের সংসারকে স্বামী স্ত্রীর ভালবাসার ঘনিষ্ট  সম্পর্ক দিয়ে নতুন ভাবে গড়ে তোলার দায়িত্ব পালন করা।

সময়ের সাথে সাথে সে গর্ভবতী অবস্থার হয়ে যায়।তখন তার মধ্যে নানা ধরণের ব্যবহারের পরিবর্তন হতে শুরু করে এই সব পরিবর্তনগুলির সাথে সে তো সহনশীলতার পরিচয় দিয়েই থাকে আরেকবার কিন্তু তাকে এই সব সময়ে বেশির ভাগ তার স্বামী ও তার পরিবারের ও সাহায্যের দরকার হয়ে থাকে।গর্ভবতী অবস্থাতে থাকা কালীন তার স্বামী স্বামীর পরিবারের সদস্যরা যতই ভালো বা খারাপ ব্যবহারটাই করুক না কেন আসল লড়াইতো ওকেই লড়তে হয় এই অবস্থাতে।যতোই ভালো খাবার,আরাম,ব্যাম করুক না কেন তার ব্যথার যে তীব্রতা তার শরীরের মধ্যে চলে থাকে তার তুলনা কোনো  অন্য রোগের ব্যথার সাথে করা অসম্ভব বলে প্রমাণ করেন ডাক্তার অব্দি।  

এই সব ব্যথাগুলি মাসের পর মাস সহন করে নয় মাসের পর সে সন্তানকে জন্ম দেয়।তার পরে তার চরিত্রে আবার এক নতুন নাম জুড়ে যায় মা বলে।এই মা হওয়ার খুশির খবর সব নারীর জাতিকেই অতি ভাগ্যের ও মূল্যবান উপাধির সাথে তাকে জড়িত করে দেয়।গর্ভবতী অবস্থাতে থাকাকালীন সে যতোই শারীরিক ব্যথা সহন করে আসুক না কেন কিন্তু সন্তানকে জন্ম দেওয়ার পরে সেই সন্তানকে কোলে নেওয়ার পরে সে কয়েক মাসের শারীরিক ব্যথা কয়েক মুহূর্তেই ভুলে যায়।

ব্যথা থাকলেও সেটা আনন্দের ব্যথা রূপে পরিবর্তিত হয়ে যায়।শিশু সন্তানের জন্ম নেওয়ার পরে

যে খুশি পিতা মাতা ভোগ করেন তার চেয়ে বড় খুশি হয়তো এই সংসারে ওদের জন্য হতে পারে না।

এই খুশির জন্য সে আজীবন নিজের মা হওয়ার কর্তব্যপূরণ করতে থাকে নিঃস্বার্থ ভাবে।নিজের সন্তানকে জন্ম দেওয়ার সাথে সাথে নিজের সন্তানের লালনপালন করে ভরণপোষণের দায়িত্ব প্রথমে মায়ের উপরই থাকে এই পৃথিবীতে।তার স্বামী সন্তানের পরে পিতা হিসেবে পরিচিত হলেও তার ভূমিকা শুধু বাইরের কাজকর্ম করে থাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে থাকে।মা বাড়ির সব কাজের সাথে সাথে রান্নাবাটির কত কষ্ট সয্য করে  নিজের সন্তানের ভরণপোষণ করে থাকেন।একজন নারী শুধু সন্তানকে জন্ম দেয় বলেই মা হন তা নয়,সেই সন্তানের লালনপালন,ভরণপোষণ দুধের স্তন্যপান থেকে শুরু করে একটি সন্তানকে মানুষ করা অব্দি।সন্তানের বড় হওয়ার অবিরামে যা যা দায়িত্ব সন্তানের ক্ষেত্রে দরকার হয় একজন অভিভাবক হিসেবে এই পৃথিবীতে পিতার সাথে সাথে উনি ও সেই সব ভূমিকা গুলি পালন করে থাকেন মাতার রূপেও।সন্তানের জন্য নিজের স্নেহ যত্ন,সময়,শিক্ষার সংস্কার,নিজের কর্তব্যই শুধু মাত্র সন্তানকে দিয়ে থাকেন একজন মা সেটা একটি ভুল ধারণা সন্তানের পরে মা নিজের ইচ্ছা,স্বপ্ন গুলিও সেই সন্তানের উপর দেখতে শুরু করে তার জন্য কখনো কখনো মাতারা  জিবনভর তাদের সন্তানের লালনপালনেই নিজেকে পরিপূর্ণ বলে মনে করেন।সন্তানের জন্য মা শুধু তাদের জিবনের জগৎতের জননী হতে পারে কিন্তু মায়ের জন্য তার সন্তান পুরো গোটা  জগৎ হয়।মা সন্তানের সাথে সাথে নিজের সন্তানের বিয়ের পরে যে সন্তান হয় যা উনাদের নাতি,নাতিনি হিসেবে পরিচিত তাদেরকে ও সেই ভাবেই নিজের সন্তানের থেকেও বেশি করে স্নেহ যত্ন মায়া মমতা দিয়ে দায়িত্বের সঙ্গে লালন পালন করে থাকেন।যার জন্য মা নিজের পুরো জিবন নিঃস্বার্থ ভাবে অতিবাহিত করে থাকেন মা,ঠাকুমা রূপে পরিচিত হয়েই।  


   


সন্তানের পরিশ্রমের কাহিনীঃ


সন্তান হল পিতা মাতার পুণ্যের কর্মের ফল যা পিতা মাতা হিসেবে এই সমাজে তাদেরকে পরিচিত করে থাকে।সন্তানের স্নেহ মায়া মমতাতে পিতা মাতা তাদের সংসার উজ্জ্বল করে তোলে থাকেন।সন্তানের আসার পরে স্বামী স্ত্রীর জীবনে আসে এক নতুন চরিত্রের সাথে নতুন নতুন স্বপ্ন,আশা,কর্তব্য,ভালবাসার স্নেহ,মায়া মমতার দায়িত্বের ছায়া যা এক পিতা মাতাকে নিয়ে যায় নতুন সংসারের দিকে।

 

সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে পিতা মাতার জন্য সন্তান সন্তানই হয়।সন্তানের জন্য পিতা মাতার প্রেম ভালোবাসার তুলনা কোনো অমূল্য সম্পদ থেকে কম থাকে না।সন্তানের আসার সময় বা সন্তানের আসার পর পিতা মাতার জীবনে যতই ব্যথা কষ্ট তারা তাদের জীবনে দেখে থাকুক না কেন তারা সেই সব ব্যথা কষ্ট গুলি সন্তানের ওই হাঁসিভরা মুখ দেখে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই ভুলে যান।তাদের ওই ছোট ছোট চোখ,কান,নাক,মুখ ওই ছোট সুন্দর চেহারা, তাদের ওই ছোট ছোট হাথ,পা,তাদেরকে দেখতে দেখতে বড় হওয়া ওদের ওই হাসি,কান্না ভরা কথাবার্তা কোনো খাবার,জিনিসের জন্য জেদ,খেলতে খেলতে পড়ে যাওয়া  যাওয়া বা ঘুমিয়ে যাওয়া,ছোট ছোট কথার জন্য ঝগড়া করা,তাদের ওই ছোট ছোট হাত গুলো দিয়ে বাড়ির এই কাজ ওই কাজ করে দেওয়ার মতন করে উলটা নষ্ট করে দেওয়া এই সব স্নেহ মায়া মমতা ভরা জিনিস গুলো দেখেই পিতা মাতা নিজের জিবন অতিবাহিত করে থাকেন নিজের সন্তানের এই সব ব্যবহার গুলি দেখে শুনে জীবনে বাঁচার জন্য। 

 

সন্তান দেখতে দেখতেই বড় হয়ে যায় কিন্তু মা বাবার জন্য তারা কখনই বড় হয় না।জন্ম নেওয়ার সময় যে ছোট সন্তানের তারা ছোট ছোট এক একটা জিনিস তারা এক এক সময়ে এক এক রূপে পরিবর্তিত হয়ে বড় হওয়া দেখেছেন তাদের ওই ছোট সন্তান কী উনাদের জন্য কোনো দিন বড় হতে পারবে।সন্তানকে বড় করার জন্য পিতা মাতা কোন কোন ধরণের পরিস্থিতিগুলির মোকাবিলা করে নিজের সন্তানকে বড় করে তুলে থাকেন সে জিনিসটার তুলনা মতন উদাহারন দেওয়ার হয়তো এই সংসারে কিছুই সৃষ্টি হয় নি বলে আমি মনে করি।  

সন্তানের জন্য পিতা মাতার যে অমূল্যনীয় বলিদান থাকে তার জন্য সত্যিতেই সন্তানকে উনাদের প্রথমে কৃপাধন্য হয়ে পুঁজতে হবে এই সংসারে।

 

সন্তানের জন্য পিতা,মাতার স্থান পূজনীয় দেবি,দেবতাদের থেকে ও উঁচু পদে থাকে এই উক্তিটি সত্যিতেই বাস্তবাহিত হওয়া দরকার আজকের বর্তমান দিনে।কারন আগের ইতিহাস পালটায় দেখলে আমরা সন্তানের জন্য পিতা মাতার স্থান পূজনীয় দেবি দেবতাদের থেকে ও উঁচু পদে থাকে এই উক্তিটি সত্যিতেই বাস্তবাহিত করে চলে থাকাটা দেখি কিন্তু বর্তমানে এই উক্তিতির কোনো বাস্তবাহিত হওয়া তো দূরের কথা উলটা পিতা মাতা ওদের জিবনের জন্য কী বা করে দিয়েছেন শুধু এই সংসারে জন্ম দেওয়া ছাড়া বলে নিজের হাত নিজের পিতা মাতার কাছ থেকে সরিয়ে নেয় তারা এই উক্তিটি করে নিজের হাথ শুধু নিজের পিতা মাতা থেকে সরিয়ে নেয় সেটাই  শুধু নয় তারা নিজের পিতা মাতার দায়িত্ব পালনের কর্তব্য থেকে ও সরে যায় প্রায় বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রেই।যে পিতা,মাতা তাদেরকে এই সংসারে আসার সময় থেকে ও আগে থেকেই নিজের জিবনের এক একটা স্বপ্ন,এক একটা ইচ্ছাগুলির গলাটিপে হত্যা করে ছিলেন যাতে তাদের সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্বভার ভালো ভাবে পালন করতে কোনো বাঁধা ত্রুটি সৃষ্টি না হয় বলে,সন্তানের এক একটা খুশির জন্য তারা কখনো কখনো নিজের অস্তিত্ব অব্দি মিটিয়ে ছিলেন।সেই রকম পিতা মাতার মূল্য হয়ত আজকের বর্তমান সময়ে কম হয়ে গেছে তার জন্যই হয়তো আজকের বর্তমান সময়ে কোনো সম্পদ,জিনিসগুলোর সাথে সাথে মানব সম্প্রদায়ের ও মূল্য মূল্যহীন হয়ে গেছে।

 

এই চলে থাকা বর্তমান দিনের জীবনে আমরা কয়েক আদর্শ সন্তানের ও উদাহারন দেখতে পায় যারা নিজের পিতা মাতার যত্ন করে থাকে নিজের সন্তানের মতোনই।যেমন পিতা মাতা রেখে থাকেন নিজের সন্তানকে ঠিক তেমনি তারা ও নিজের পিতা মাতাকে খুব যত্নে আদর করে রেখে থাকে এই বর্তমান সময়েও।তারা নিজের পিতা মাতা পরিবারের জন্য এই জটিল সমাজের সঙ্গে কী ভাবে নিজেকে উজ্জ্বল ভবিষৎতের জন্য প্রস্তুত করার প্রচেষ্টাগুলির সাথে সাথে নিজের পরিবারের এক একটা দায়িত্বের কর্তব্য পালনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হয় সেই চিন্তাভাবনার উপরও নজর রাখে।  

 

এই সমাজে সব শিশু সন্তানকে সমাজের নিয়মাবলী অনুযায়ী বড় হতে হয়।শিশু যখন ছোট থাকে তখন তাকে বাড়ির পরিবারের সদস্যদের মধ্যেই পরিবারের অনুশাসনের শিক্ষা শিখতে হয়।সময়ের সাথে সাথে যখন সে বড় হতে থাকে সেই অনুযায়ী শিক্ষাগত পর্যায়ক্রম, পাঠ্যক্রম গুলির মাধ্যমে তাকে শিক্ষা নিতে হয় এক এক শ্রেণীতে গিয়ে নানা শিক্ষাগত প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্য দিয়ে।সেই শিক্ষা গ্রহণের অবিরামে তাদের জিবনে বয়স সীমার ও পর্যায়ক্রম চলতে থাকে।সেই সময় তাদের জিবনে নানা কৌতুহল,খেলাধুলা,কোনো জিনিসের জন্য জেদ, দুস্টমিগুলিও সৃষ্টি হতে থাকে।তবুও তারা নিজের পিতা,মাতা পরিবারের সদস্যদের মাথা তাদের কোনো ভুলের জন্য না ঝুকে বলে সব সময় এই সব কথা গুলোকে চিন্তাধারার মধ্যে রেখে তারা নিজেকে সান্তনা দিয়ে থাকে ও ভালো ভাবে পড়াশোনার দিকেই মন দিয়ে থাকে ও একের পর এক ভালো স্থানে পৌঁছে পড়াশোনা করে থাকে।এই পড়াশোনার ভালো পরিণামের ফ্ল ও অভিজ্ঞতাগুলির মাধ্যমে ভালো জায়গায় সুনিদিষ্ট ভবিষৎ গড়ে তোলার জন্য তারা দিন রাতের কষ্ট সয্য করে আসে পিতা মাতাদের সামনে। তবুও এই জটিল সমাজ ব্যবস্থার,শিক্ষা ব্যবস্থার,প্রতিযোগিতা নানা ধরণের ব্যবস্থাপনা গুলোর কোনো ক্ষেত্রতে হার না মেনে নিজেকে কী ভাবে সেই সব স্থানে অভিযোজন করে বেচে পিতা মাতার কষ্টকে সুনিদিষ্ট লক্ষে পৌঁছে প্রকাশিত করতে হবে সেই পথের সন্ধানের দিকে চলাটাই লক্ষ্যই হল একটি আদর্শ সন্তানের আসল পরিচয়ের উদাহারন।  

  

পিতা মাতা যে কষ্ট করে থাকেন নিজের সন্তানের জিবনের জন্য সেই কষ্টের হয়তো কোনো তুলনা করা যায়  না সন্তানের জিবনে।কিন্তু সন্তানরাও তাদের জিবনে যতই কষ্ট থাকুক না কেন পিতা মাতার কাছে সেই কষ্টের উল্লেখ না করে নিজের পিতামাতার কষ্ট বুঝে ভালো ভাবেই উনাদের জন্য তারা এই জটিল সমাজের প্রতিযোগিতা ভরা সময়ে নিজের যত টুকু সম্ভব তার  থেকেও বেশি করার চেষ্টা করে নিজের পিতামাতার কষ্ট অতিশীঘ্রই দূর করার যত সম্ভব চেষ্টা  করে থাকে।কখনো ভালো পড়াশোনার মাধ্যমে,কখনো ভালো পড়াশোনা করে সুনিদিষ্ট ভবিষৎ তৈরির করা চাকরির মাধ্যমে,কখনো ভালো খেলাধুলার মাধ্যমে,কখনো ভালো নাচ গানের মাধ্যমে,কখনো ছোট খাট চাকরি,দিন মজুরি প্রভৃতি করেই হোক না কেন তারা তাদের মা বাবার কষ্ট যেন ব্যর্থ না যায় বলে সব সময় ভালো সংস্কারের দায়িত্বের সাথে কাজ করার চেষ্টা করে থাকে।

 

কখনো কখনো বন্ধু বান্ধবীদের সাথে বাইরে কোথাও অনুষ্ঠানে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে বাড়িতে ফিরলেও যদি পিতামাতা খাবার রান্না হয়ে গেছে খাবারটা সঙ্গে খেতে বসি বললে পিতামাতার কথা রাখার জন্য তাদের মনে কোনো আঘাত না পায় বলে পিতামাতার দেওয়া খাবার তারা কত কষ্ট করে পেটভরে খেয়ে খেয়ে নেয়।  

 

যখন সন্তানের বয়স বিয়ে করার হয়ে গেলে পিতামাতার দেখে দেওয়া সম্বন্ধে তারা বিয়ে করে নেয় আর তারাও এই জগতের পিতামাতা সন্তানের বংশ পরম্পরাগত ক্রিয়া চক্রের অংশীদার হয়ে যায়।

 

 খাদ্যশস্যের পরিশ্রমের কাহিনীঃ

 

“খাদ্যশস্য” খাদ্যশস্য এই শব্দটির সাথে এই পৃথিবীতে মানবজাতির শুধু সম্পর্ক জুড়ে আছে তাই নয়।এই পৃথিবীর ভূখোণ্ডে এমন কোনো জীবজগৎ নেই যার অস্তিত্ব এই খাদ্যশস্যের সাথে জড়িত হয়ে জীবিত ভাবে নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে জীবিকা অর্জন করে থাকতে পারে।

 

একটি খাদ্যশস্যকেই তার জীবনের বলিদান দিয়েই এই জীবজগৎতের প্রাণীদের প্রাণ বাঁচাতে  হয়।সেই সব প্রাণীদের মধ্যে আমরা উন্নতশীল জীব মানুষ ও মিশে আছি এই পৃথিবীতে আমরা হয়তো অক্সিজেন অব্দি নিজেই আবিষ্কার করে বাঁচতে পারি কিন্তু আমাদের পেটে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে বাঁচার জন্য আমরা এখনও খাদ্যশস্যের উপর নির্ভরশীল।

 

মানুষ হল এই পৃথিবী জগৎতের সব চেয়ে বুদ্ধিমানি জীবের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ।এই মতবাদের প্রমাণ আমাদের বর্তমান সময়ের চলে থাকা উন্নত আধুনিকীকরণের প্রয়োগ করে চলে বাঁচার প্রক্রিয়াকে দেখেই আপনারা বুঝতে পারবেন।মানুষ শুধু উন্নত আধুনিকীকরণের প্রয়োগের ক্ষেত্রেই শুধু নয় সব ধরনের জিনিসের ক্ষেত্রেই উন্নতশীল অন্য জীবদের তুলনায়।

 

মানুষের ইতিহাস যখন থেকে শুরু হয়েছে তখন থেকেই মানুষ কিন্তু এত বেশি উন্নতশীল বুদ্ধিমানি জীব ছিল সেটা কিন্তু ভূল ধারণা।বলে না যে এক একটা ছোট ছোট ইট দিয়ে একটি বিশাল প্রসাদ তৈরি হয়, ঠিক তেমনি এক একটা সময়ের পর্যায় অতিক্রম করার পর মানুষ একটি সাধারণ অরণ্যের বসবাস করা মানুষ থেকে আজকের মহাকাশ অব্দি পৌঁছে যাওয়ার উন্নতশীল মানুষে পরিণত হয়ে গেছে।কিন্তু এই শুরু থেকে চলে আসার ইতিহাসের মধ্যে একটাই জিনিস এই রকম থেকে গেছে যে মানুষ তার আশীর্বাদেই আজকের এই উন্নত আধুনিকীকরণের ব্রত্মানের বাস্তব সময়ের দিন গুলো তৈরি করতে পারতেছে সেই জিনিস হল “খাদ্যশস্য”।

  

 আমাদের জীবনে পিতামাতা ভগবানের যেমন নিঃস্বার্থ অবদানের আশীর্বাদ হয়ে আছে আজ  পর্যন্ত ঠিক তেমনি খাদ্যশস্যের নিঃস্বার্থ অবদানের আশীর্বাদ ও অতুলনীয় বলে আমি মনে করি।

কারণ একটি বীজ নিজের অস্তিত্বের বলিদানের পরেই একটি গাছে পরিণত হয় আর নিজের জীবনের কত সময়ের এক একটি কষ্ট সয্য করে যে ফসল তারা তৈরি করে সেই ফসল তৈরি হওয়ার পর যেন জীব জগৎতের প্রাণীরা তাদেরকে গ্রহণ করে নিজেদের প্রাণ বাঁচিয়ে এই সংসারে ভালো ভাবে জীবিকা অর্জন করে বেঁচে থাকুক বলে তারা তাদের পুরো জীবনের তৈরি করা সেই ফসলের বলিদান নিঃস্বার্থ ভাবে দিয়ে দেয়।

তাদের এই বলিদানে তারা যে শুধু নিজের ফসল দিয়ে দেয় সেটাই শুধু নয় তারা তাদের নিজের শরীরের অংশ ও দিয়ে দিচ্ছে তার সাথে সাথে কখনো কখনো তারা নিজের জীবনের বলিদান অব্দি নিঃস্বার্থ ভাবে দিয়ে দেয় আমাদের জীবনের জন্য।

 

এক একটি বীজ খাদ্যশস্য রূপে যখন আমাদের বাড়িতে পৌঁছায় তখন আমরা কী সুন্দর  খাদ্যশস্য যা রান্নার জন্য আমাদের বাড়িতে এসে পৌঁছে গেছে বলেই আমাদের কথার শেষ হয়ে যায়।কিন্তু সেই খাদ্যশস্যের বীজকে কেউ প্রশ্ন করে না যে কত সময়ের কষ্ট সয্য করে সে আমাদের বাড়ি অব্দি খাদ্যশস্যের রূপে পৌঁছে এসেছে।

 

একটি বীজের খাদ্যশস্যের রূপে পরিণত হওয়ার পিছনে কৃষকের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকে।কিন্তু খাদ্যশস্যের জীবনের অতুলনীয় নিঃস্বার্থ বলিদানের ভূমিকা ও আমরা অদেখা করতে পারি না।এই এক একটি ছোট ছোট বীজগুলির আমাদের জীবনে যা প্রধান্য আছে তার ভালো গুণাবলীর প্রভাবের তুলনা অন্য কোনো জিনিসের সাথে নেই বললেও চলে।


 একটি খাদ্যশস্য বীজের কাহিনী যদি আমরা দেখতে যায় তাহলে ওদের জিবন ও আমাদের মতোই নানা সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে নিজের,নিজের অস্তিত্বের প্রাণ বাঁচিয়ে কী ভাবে অভিযোজন করে এই পৃথিবীতে বাঁচা যায় তার উদাহরণ পাবো।একটি বীজ যখন মাটিতে মিশে যায় তখন থেকে তার এক নতুন জিবনের পরিচয়ের পদ্ধতি শুরু হয়ে যায়,এই নতুন পরিচয়ের জন্য নিজের অস্তিত্বের বলিদান তারা নিঃস্বার্থ ভাবে দিয়ে থাকে সব সময়।মাটিতে মিশে যাওয়ার পর যখন একটি বীজ গাছে পরিণত হয় তখন থেকে এক একটি সময়ের পর্যায় গুলি অতিক্রম করার পরে সে একটি ছোট বা বিশাল গাছের রূপে পরিণত হয় তখন আসতে আসতে করে সে তার ডালি ভরা পাতার মধ্য দিয়ে ফুলের কলি ফলের কড়িগুলি বের করতে শুরু করে।সেই ফলের কড়ি বড় হওয়ার পর খাওয়ার যোগ্য ফলে পরিণত হলে তখন আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে আসি।এই ভাবেই প্রায় সব ফসলের গাছের ভাগ্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন ভগবান ।এই গাছগুলি জিবিত অবস্থাতে শুধু যে ফল দেয় তাই নয় তার ওই সুন্দর সবুজ পাতা ভরা দৃশ্য দেখে আমরা যে আনন্দ পেয়ে থাকি তার সত্যিতেই কোনো তুলনা নেই।তার সাথে  সাথে আমাদের গরমের দিনে গাছের পাতার যে ছায়া আমরা পেয়ে থাকি তার সঙ্গে সঙ্গে জলের সমস্যা,অক্সিজেনের সমস্যা,ভূমি ক্ষয়ের সমস্যা,বন্যার সমস্যা প্রায় আরও বিভিন্ন ধরণের সমস্যা গুলি গাছ তার ভালো গুনগুলির মাধ্যমে আমাদের জন্য প্রতিরোধ করে থাকে।এই গাছ গুলির ও নানা ধরণের প্রকারভেদ হয় কেউ কম আয়ুর কেউ দীর্ঘ আয়ুর হয় আর তাদের মধ্যে কেউ ছোট জাতির হয় ছোটতেই ফুল ফল দিয়ে নিজের প্রাণ হারায়,কেউ বিশাল গাছে পরিণত  আমাদের সাথেই বেঁচে থাকে আর ঋতু অনুযায়ী বছরের পর বছর অব্দি ফুলফল দিতেই থাকে।

 

একটি ছোট বীজ থেকে শুরু করে যখন একটি বিশাল গাছের রূপ নিয়ে নেয় যখন গাছ তখন আমরা একটি গাছের অস্তিত্ব বুঝি।কিন্তু এই অস্তিত্বের অবিরামে তারা যে কষ্ট সয্য করে থাকে সেই কষ্ট হয়তো আমরা বোঝার চেষ্টা অব্দি করি না বা না করার ভ্রান করে থাকি।তার সাথে সাথে আমরা কখনো কখনো গাছের  কারণে বা অকারণেই গাছের পাতা,ফুল,ফল ডাল গুলি নষ্ট করে থাকি।তার সঙ্গে সঙ্গে গাছের নিজের জীবনেরতো কষ্ট আছেই কখনো প্রচন্ড গ্রীষ্মে অতিরিক্ত বর্ষা এসে গাছের সম্পূর্ণ  অংশের  সাথে সাথে মূল অব্দি ভাসিয়ে নষ্ট করে বয়ে নিয়ে যায় জলে আর কখনো   শীতকালে শুকনো জলবায়ুর কারণে মাটি শুকয়ে তার পাতাগুলি ঝরে শুকনো হয়ে পড়ে যায় মাটিতে,একটি গাছ এত সব কষ্ট সয্য করে থাকে তার জিবনে কিন্তু কোনো দিন সে কাউকে অভিযোগ অব্দি করে না আর আমাদের জন্য আজীবন তার কার্য প্রক্রিয়া চালাতেই থাকে।

 

একটি গাছের সাথে সাথে তার বীজের ও যে ভাবে আমরা আজকের বাস্তব সময়ে নানা বিজ্ঞান প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে যে ভাবে আমরা তাদের অস্তিত্বের সাথে খেলতেছি তার ফলে তাদের হয়তো অস্তিত্বই শুধু পালটে যাচ্ছে তাই নয়, আমরা যে পর্যবেক্ষন করে তাদের প্রকৃতি ও পালটে দিচ্ছি জৈবিক সারের বদলে রাসাইনিক সার ব্যবহার করে।তার ফলে আমাদের এই বাস্তব সময়ে সব ফল,ফুল,খাওয়ার ফসলগুলি Original থেকে Hybrid ফসলে পরিণত হয়ে গেছে।এই নানা ধরণের পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে হয়তো আমরা Original ফসলের অস্তিত্বটা নষ্ট করে দিয়েছি কিন্তু এই পর্যবেক্ষনের কুফল দিকগুলির সাথেও তারা এই প্রকৃতির আবহাওয়া সাথে নিজেকে অভিযোজন করে বেঁচেই থাকে শুধু মাত্র একটি লক্ষ্য নিয়ে যে এই জীবজগতের প্রাণীরা তাদেকে খাদ্যশস্য রূপে গ্রহণ করে নিজের ও নিজের পরিবারের প্রাণ বাঁচিয়ে জীবিকা অর্জন করে বেঁচে থাকতে পারে বলে।

 



আমাদের জিবনে রাজনীতিবিদ,কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগণদের,অবদানঃ


আমাদের এই সংসারে বাঁচতে হলে এক সমাজের মধ্যে বাঁচতে হয়।এই সমাজ কয়েকটি মহাদেশের কয়েকটি দেশে বিভক্ত হয়েছে এই দেশগুলি কয়েকটি রাজ্যে আর এই রাজ্য গুলি কয়েকটি জেলার শহরে,গ্রামে ছোট ছোট ভাবে পরিণত হয়ে আছে।এই সব দেশ,রাজ্য, জেলা,শহর,গ্রামগুলিতে বসবাস করে থাকে জনসাধারণ।এই জনসাধারণকে ভালো ভাবে সুনিদিষ্ট দিশার দিকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব থাকে জনসাধারণের নির্বাচিত করে থাকা  রাজনীতিবিদদের।আর রাজনীতিবিদদেরকে উনাদের কর্তব্য পালনে সাহায্য করে থাকেন প্রথমে আমাদের দেশের কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগন,সৈনিকবল আরও নানা কর্মসংস্থান গুলির কর্মচারীগণরা নিজের পদ,নিজের কর্তব্য অনুযায়ী দেশের,দেশের জনসাধারণের ভবিষৎ সুনিদিষ্ট করার দায়িত্ব নিয়ে থাকেন।

 

এই রাজনীতিবিদদের মধ্যে রাজনেতা,রাজনেত্রী সবাই এক সমানের কর্তব্যপালন করার জন্য কয়েক ধরণের সুবিধা দেশের সরকার,আইন থেকে পেয়ে থাকেন।যা অন্য ক্ষেত্রদের কর্মচারীরা বেশিরভাগ পেয়ে থাকেন না রাজনীতিবিদ,কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগন,সৈনিকবল আরও নানা কর্মসংস্থান গুলির কর্মচারীগণরা নিজের পদ,কার্যভার অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব তারা কর্তব্যপূর্ণ ভাবে পালন করে থাকেন।    

 

রাজনীতিবিদ শুধু বললেই হবে না।তার জন্য রাজনেতা বা রাজনেত্রীকে তাদের কয়েক ধরণের দক্ষতার পরিচয় দিতে হয় জনসাধারণকে।রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য দক্ষতা থাকলেই শুধু হবে না তার জন্য সেই রাজনেতা বা রাজনেত্রীকে উউন্ত শিক্ষা,কার্যগত অভিজ্ঞতা,সাহস,দূরদৃষ্টি ভঙ্গিতার বিষয়ে জ্ঞান অনেক তথ্য সম্বন্ধে সঠিক অভিজ্ঞতা ও থাকতে হবে।যাতে দেশের সাথে সাথে জনসাধারণের বর্তমান সময়ের ভালো ব্যবস্থা গ্রহন করে তাদের দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথে তাদের ভবিষৎ ও সুনিদিষ্ট করে উজ্জ্বল ভাবে প্রকাশিত করার দায়িত্ব প্রথমে রাজনীতিবিদদেরই থাকে।তার সাথে সাথে কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগন,সৈনিকবল আরও নানা কর্মসংস্থান গুলির কর্মচারীগণরা নিজের নিজের  ক্ষেত্রগুলিতে উনাদেরকেও নানা ধরণের দক্ষতামূলক গুণাবলীর পরীক্ষাগুলিতে সফল হতে হয়।   

  

দেশের সুনিদিষ্ট আইন শৃঙ্খলা,সরকার গঠনের জন্য যেমন প্রথমে দেশের জনসাধারণের দরকার হয় তার সাথে সাথে ভালো দক্ষতাপ্রাপ্ত অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদের কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগন,সৈনিকবল  আরও নানা কর্মসংস্থান গুলির কর্মচারীগণদের  ও দরকার হয় একটি উন্নতশীল দেশের উদাহরণর হয়ে ওঠার  জন্য।

 

জনসাধারণের সাথে থেকে এক একটা কার্যভার,দায়িত্ব নেওয়ার শপথ যখন একজন দক্ষতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হওয়ার পর নিয়ে থাকেন।তখন প্রথমে তার দেশের জন্য তার পর দেশের জনসাধারণের জন্য কয়েক ধরণের সুনিদিষ্ট ব্যবস্থার সাথে সাথে নানা ধরণের কতব্য,দায়দায়িত্ব দেশের আইন শৃঙ্খলা মেনে কী ভাবে জনসাধারণের কাছে নানা ধরণের সুবিধাগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে সবাইকে সমান ভাবে পৌঁছানো সম্ভব হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন আদর্শ রাজনেতা,রাজনেত্রীগণ সব সময়।জনসাধারণের থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর দেশের,দেশের জনসাধারণের  রক্ষা করার জন্য দেশে সুরক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যব্যস্থা,শিক্ষা ব্যবস্থা,অর্থনৈতিক ব্যবস্থা,খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা,শহর গ্রামের সমাজ কল্যাণের ব্যবস্থা সব দিকেই এক একজন রাজনেতা,রাজনেত্রীর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য হয়ে পড়ে।সেই সব ব্যবস্থাগুলির কার্যভার  দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে রাজনীতিবিদগণ কখনো সফল ও হন কখনো না না সমস্যার সম্মুখীন ও হয়ে পড়েন।কিন্তু সে  ক্ষেত্রেও উনারা উনাদের ভালো সহনশীলতার সাথে নিজের  কর্তব্য নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে থাকেন।  

 

রাজনীতিবিদগণ ভালো ভাবেই জানেন যে তাদের এই সব ব্যবস্থাগুলির মধ্য দিয়েই শুধু দেশের উন্নতি হওয়া সম্ভব না দেশের উন্নতির জন্য প্রথমে দেশের জনসাধারণকে ও উন্নয়নের পথে সঠিক দিশার মধ্য দিয়ে নিয়ে যেতে হবে তার জন্য উনারা সব সময় চেষ্টা করে থাকেন যে কী ভাবে দেশের জনসাধারণকে সঠিক উন্নত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলা যায় এর ফলে দেশের নানা শিক্ষা পরিকল্পনাগুলিকে কার্যকরী করার জন্য সরকারি, বেসরকারি পরিকাঠামোগুলি তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এখনো পর্যন্ত।

 

দেশের জনসাধারণের জন্য সরকার নানা পরিকল্পনা,সুব্যবস্থাগুলি কার্যকরী করলেও কয়েকটি ছোট ছোট আদি গ্রামঅঞ্চলগুলি এমন ও আছে যে এখন অব্দি ওই সব জায়গাগুলিতে সরকারের প্রচেষ্টাগুলি ভালো ভাবে পৌছাতে পারেনি।তার জন্য কয়েকটি ক্ষেত্র গুলিতে এখন ও ভালো ভাবে জনসাধারণের মধ্যে নিজের অধিকার গুলির সম্বন্ধে জনসচেতনতা বুঝতেই পারেনি হয়তো তার জন্য সরকারি সাহায্য,সুযোগসুবিধা থেকে তারা নিজেকে বঞ্চিত আছে বলে মনে করে।

 

রাজনীতিবিদগণ যতই ভালো সুব্যবস্থা,পরিকল্পনাগুলি পরিচালনা করলেও জনসাধারণের কল্যাণের জন্য কম হয় এই সব ধারণা কয়েকটি আদর্শ রাজনীতিবিদরা শুধু মনে করেন।কিন্তু বলে না যে এই পৃথিবীতে সব জিনিসেরই দুটো দিক হয় ভালো আর খারাপ ঠিক তেমনি আমাদের দেশের কার্যভারের দায়িত্ব প্রথমে দেশের সরকারি রাজনীতিবিদদের হাতে থাকে তার পর জনসাধারণের।আর এই জনসাধারণের কল্যাণের দায়িত্ব প্রথমে রাজনীতিবিদেরই থাকে কিন্তু সব রাজনীতিবিদগণ কী একি মনোভাবের উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে থাকেন তার কোনো সঠিক ভরসা নেই।তার জন্য সরকার যতই ভালো সুপরিকল্পিত, সুব্যবস্থা কার্যকরী করলেও  জনসাধারণ কোনো না কোনো ক্ষুদ বের করেই থাকে।

 

দেশের কয়েকজন রাজনীতিবিদগণ,কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগণ,সৈনিকবল আরও নানা কর্মসংস্থান   গুলির কর্মচারীগণরা নিজের পদ,কার্যভার ভালো ভাবে দায়িত্বের সঙ্গে না পালন করে থাকেন তার জন্য আমরা দেশের সরকারি ব্যবস্থা,আইন ব্যবস্থা থেকেই ভরসা ছেড়ে দিবো তাহলে তো দেশের সমস্যার সমাধান হবে না।এই রকমের কোনো খারাপ পরিস্থিতি যদি দেশের কয়েকটি জনসাধারণের মধ্যে খারাপ মানসিকবোধ সৃষ্টি করে থাকে তাহলে গোটা জনসাধারণের সাথে সাথে দেশের ও অবউন্নতি হবে।

 

দেশকে যদি অন্য উন্নতশীল দেশদের সাথে সমসাময়িক ভাবে মোকাবিলা করে উন্নতশীল দেশে গড়ে তুলতে হলে দেশের রাজনীতিবিদ,কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগন,সৈনিকবল আরও নানা কর্মসংস্থানগুলির কর্মচারীগণদের সাথে সাথে দেশের জনসাধারণকেও মিলে মিশে ভরসার সঙ্গে একজুট হয়ে আদর্শ নাগরিকের কর্তব্যগুলির দায়িত্বভার ভালো ভাবে পালন করতে হবে।কারণ একটা পেঁয়াজের বস্তাতে যদি দুই-চারটা পেঁয়াজ খারাপ থাকে তাহলে পুরো গোটা বস্তাই খারাপ আছে সেটা কোনো সঠিক বিচার হল না।ঠিক তেমনি আমাদের এত বড় দেশের  কার্যভারের দায়িত্ব পূরণে মধ্যে যদি দুই-চারজন খারাপ কাজ করে থাকেন তাহলে পুরো গোটা দেশের সরকারি ব্যবস্থাটাই খারাপ এই মতবাদের ও কোনো সঠিক যুক্তি হল না বললেও চলে।

 

আর এই সব সরকারি রাজনীতিবিদকে সাহায্য করে থাকেন আমাদের দেশের কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগন,সৈনিকবল আরও নানা কর্মসংস্থান গুলির কর্মচারীগণরা তারা তাদের মধ্য দিয়ে যত সম্ভব এই দেশেরসরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করে দেশের জনসাধারণকে সেবা করে থাকেন।তারা শুধু যে নিজের স্বার্থের জন্যই কাজ করে থাকেন এই ধারণা হল আমাদের ভুল ধারণা কারণ তারা আমাদের জন্য শুধু যে নানা দিক দিয়ে সেবা করে থাকে শুধু সেটা নয় তারা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যা যা আমাদেরকে দরকার হয় সেই সব জিনিসের চাহিদা পূরণ করার দায়িত্ব প্রথমে ওরাই 

নিয়ে থাকে। আমাদের সব ধরণের জিনিসপত্রের চাহিদাগুলি পূরণ করতে করতে ওরাও যেন জেনে না জেনে আমাদের পারিবারিক সদস্য হিসেবেই গণ্য হয়ে থাকেন সব সময় সবার বাড়িগুলোতে এক একটি সুযোগসুবিধার নাম হিসেবে। এই সব জিনিসপত্রের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে উনারা কখনো কখনো বিশেষ ধরণের সমস্যার ও

সম্মুখীন হন কিন্তু সেই সব সমস্যা থেকে বড় হল নিজের সন্তানের মত জনসাধারণের সুরক্ষা, চাহিদা পূরণ করা বলে তারা সেই সব সমস্যা গুলিকে কখনো অদেখা করে,কখনো মোকাবিলা করে সেই সমস্যা সমাধান করে থাকেন।যেমন বাড়িতে পিতামাতারা যেভাবে আমাদের জীবনের সুরক্ষার দায়িত্ব  নিয়ে থাকেন ঠিক তেমনি রাজনীতিবিদ,কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগন সৈনিকবল  আরও নানা কর্মসংস্থান গুলির কর্মচারীগণরা তারা তাদের মধ্য দিয়ে আমাদের জীবনের সাথে সাথে গোটা দেশের সাথে দেশের জনগণের সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়ে দেশের কার্যপ্রক্রিয়ার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন।           

 

আমাদের পরিশ্রমের কাহিনীর আসল সমস্যাটির ব্যাখ্যাঃ

 

আমাদের এই কাহিনীর প্রত্যেক চরিত্রকেই আপনি হয়তো পড়ে দেখেছেন যে তারা নিজের নিজের ভুমিকার ক্ষেত্রে এক একটি সময়ে প্রত্যেকজন প্রত্যেকজনের জন্যই নিজের সংঘর্ষের সময়গুলি অতিক্রম করে এসেছেন পরিশ্রমের সাথে।তারা সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হওয়া প্রকৃতির সঙ্গে লড়ে কি ভাবে নিজের আর নিজের পরিবারের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে এই সংসারে অভিযোজন করে বাঁচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে তারা নিজেকে মানিয়ে নেয় এক এক পর্যায়ে পেয়ে থাকা নতুন নতুন অভিজ্ঞতার সঙ্গে।

 

এই কাহিনীতে প্রত্যেকজন নিজের বক্তব্য পরিশ্রমের সঙ্গে দিয়েছেন এক এক ভাবে কিন্তু এই এত কষ্ট করে যে তারা তাদের জন্য তাদের পরিবারের জন্য নিজের জিবনের রোজগারের উদ্দেশ্যটাই হল প্রথমে খাদ্যশস্যের জন্য,আর খাদ্যশস্যের জীবনে বেঁচে থাকার লক্ষ্য হল এই জগৎতের প্রাণীদের প্রাণ বাঁচিয়ে তাদেরকে জীবিকা অর্জনে সাহায্য করানো।আর এই ভাবেই প্রায় কাহিনীর প্রত্যেক চরিত্রই নিজের নিজের ভাগ্য নির্ধারণ করেছেন এক অপরের জন্য কিন্তু কী সবাই ওই পরিশ্রম করে তৈরী করা যে খাবার আছে তাকে কী সবাই ঠিক ভাবেই গ্রহণ করতে পেরেছেন।নাকি গ্রহণ করার নাম দিয়ে উলটা নষ্ট করে দিয়ে দিচ্ছেন সেই প্রশ্ন একবার প্রত্যেক জনসাধারণ নিজের সাথে করে নেওয়াটা উচিত বলে আমি মনে করি।কারণ যেখানে কোনো কোনো দেশের নাগরিকের অবস্থা এই রকম ও আছে যে এখন ও তারা এক বেলার খাবারের জন্য ভগবানের কাছে ভিক্ষা নিয়ে বসে আছেন নিজের দুর্ভাগ্যের পরিস্থিতি,দেশের জীবিকা অর্জনের পরিস্থিতির সাথে পরিবর্তিত আবহাওয়া প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।আর কোনো কোনো দেশের নাগরিক এমন ও আছেন যে এখন ও তারা খাদ্যশস্যের দুরউপযোগ করে আছে।যত খাওয়ার আছে তার থেকে বেশি নিয়ে নেয় আর খাওয়ার খাওয়া থেকে বেশি অপচয় করে ফেলে।এই রকমের অপচয়ের ফলে পৃথিবীর দেশ মহাদেশগুলিতে দেখা দেয়  বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির আবহাওয়া যা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করে থাকে।এই বিশ্বের নানা দুর্ভিক্ষের জন্য কয়েক ক্ষেত্রে আমাদের অসচেতন  বুদ্ধির চিন্তাধারাগুলি দায়ী হয়ে থাকে যা আমরা হয়তো বুঝতে অব্দি পারি না।   

 


এখন উন্নত দেশের নাগরিকদের এই রকম চিন্তাধারা শুরু হয়ে গেছে যে ওরা টাকা দিয়ে এই বিশ্বের সব কিছুই নিজের উপযোগ থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় কিনে নিতে পারবে,হয়তো এই চিন্তাধারাও একশ্রেণীরলোকেদের জন্য আসাটা খারাপ না কিন্তু পারবে বলেই দুরউপযোগ করাটা হল আসল সমস্যার কারন।কেননা কয়েক ক্ষেত্রগুলিতে লোকেরা টাকা আছে বলে নিজের খাওয়ার খাবার থেকে অতিরিক্ত খাবার ওরা নিয়ে নেয় আর খাবার না খেতে পেরে উল্টা নষ্ট করে অপচয় করে ফেলে এর ফলে শুধু যে ওরা টাকাটাই হয়তো অতিরিক্ত খরচ হয়ে গেছে বলে এক সময় চিন্তাভাবনা করতে পারে কিন্তু আসল সমস্যাটি টাকা খরচ না সমস্যাটি হল তারা যে খাবার অপচয় করেছেন সেই অপচয় করার খাবারের যদি আমরা হিসাব রাখি তাহলে কী হতে পারে।


 এখন বর্তমান সময়ে বলে লাভ নেই শুধু যে একশ্রেণীর লোকেরাই যে খাবারটা নষ্ট করে অপচয় করে থাকে সেটা কিন্তু ভুল ধারণা বললেও চলে কারণ বর্তমান যুগের উন্নত দেশগুলির নানা সুপরিকল্পনাগুলির মাধ্যমে সব নাগরিকদের বাড়ি গুলোতেই খাদ্যশস্যের পরিমানের অভাব নেই বললেও চলে।কিন্তু তারা খাবারের যে ভাবে অপচয় করে সমস্যা সৃষ্টি করে আসতেছে তার জন্য শুধু একশ্রেণীর লোকেদের দায়ী করলে হবে না।এখন প্রায় সবার বাড়িগুলোতে যখন পরিবারের সদস্যরা খাবার খাওয়ার জন্য বসে তখন কেউ না কেউ নিজের থালিতে খাবার অল্প অপচয় করেই থাকে।এখন এই খাবার অপচয় করারটাও একটা নতুন Modern Culture হয়ে গেছে বললেও চলে।কারণ কেউ কেউকে এই খাবার অপচয় কেন করেছেন বলে  প্রশ্ন করলে এই অপচয় করে নেওয়ার খাবারকেও এক একটা নাম দিয়ে উল্লেখ করে থাকেন কেউ বলে অল্প ছাড়াটা হল Manners এর লক্ষণ,আর কেউ বলে অল্প পশুপক্ষিদের জন্য,কেউ বলে ভগবানের জন্য,কেউ বলে ইচ্ছা করলো না খেলাম না বলে নানা ধরণের উত্তর তাদের কাছে থাকেই।এই অপচয়ের জন্য তাদের কোনো সচেতনতা নেই না এই অসচেতনতার সাথে থাকার অভ্যাস হয়ে গেছে এই জিনিসটি বোঝাটা একটু কঠিন হয়ে যায় তখন যখন অশিক্ষিত অজ্ঞানী হয়তো এই অল্প অল্প করে থাকা খাবারের অপচয়কে একটি বড় সমস্যা ভাবে না কিন্তু যারা শিক্ষিত জ্ঞানী তারাও কিন্তু এই সমস্যাটিকে আরো তীব্র রূপে পরিণত করে থাকে যখন তারা খাবারের অপচয় করে ফেলে।

 


এই অল্প অল্প করে থাকা রোজদিনের খাবারের অপচয়কেও যদি আমরা হিসাব করে থাকি তবুও একটা দেশের মধ্যে কয়েকটন খাবারের অপচয় আমরা দেখতে পাব আর যদি আমরা পুরো বিশ্বের খাবারের অপচয়ের হিসাব করি তাহলে কত যেন হতে পারবে তার চিন্তা অব্দি করাটা অসম্ভব হবে।আর এই বর্তমানে অল্প অল্প করে থাকা খাবারের অপচয়ের সমস্যাটাই আমাদেরকে একদিন ভবিষ্যতে ভীষণ সঙ্কটের মধ্যে ফেলে রাখবে।বলতে গেলে এই খাবারের দুর্ভিক্ষের ইতিহাস সত্যিতেই হওয়াটা আপনি যদি পড়ে বা শুনে না থাকেন তাহলে আপনি বর্তমান যুগের কয়েকটি দেশগুলির উদাহরণ আপনি এখন ও দেখতে পারবেন যে তারা কেমন করে এক বেলার খাবারের জন্য ভগবানের কাছে ভিক্ষা নিয়ে বসে আছে,আর  কখনো  কখনো এক বেলার খাবার অব্দি না পেয়ে প্রত্যেক দিন হাজার হাজার লোক এখন ও খাবারের অভাবে অপুষ্টির কারণে মৃত্যুর মুখে পৌঁছে যাচ্ছে।এই দিকে  উন্নত দেশের নাগরিকেরা এখন ও নিজের নিজের অজুহাত দেখিয়ে খাবারের অপচয় করেই যাচ্ছে।তারা কখনো ভাবে না যে এই অল্প অল্প করে তারা যে খাবার অপচয় করে যাচ্ছে সেই খাবার থেকে কোনো না কোনো বাড়ির পরিবারের সদস্যদের পেট ভরে থাকতে পারবে বলে।

 আমি নিঃসন্দেহে বলতে পারি যে বাড়ির পরিবারের সদস্যগণের মধ্যে কেউ না কেউ খাবার ফেলায় নষ্ট করে অপচয় করেই থাকে।কারণ এই দৃশ্য আমি আজ পর্যন্ত যত বাড়ি গুলোর পরিবারের খাবার গ্রহনের ব্যবস্থা আছে তত গুলোতেই দেখেছি তার সাথে সাথে যত Hotel, Restaurant,Guest House গুলোতেতো আছেই তার সাথে সাথে বিয়ে বাড়ি,পূজোর বাড়ি নানা অনুষ্ঠানগুলিতে এই খাবারের অপচয় এর দৃশ্য এখনকার দিনে একটা নতুন Modern Culture  হয়ে গেছে বললেও চলে।কিন্তু কেউ এই বিষয় নিয়ে ভাবে না যে অল্প অল্প করে এই খাবার অপচয়ের পরিণাম আমাদেরকে এক ভয়ঙ্কর সমস্যার মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে যা থেকে বাঁচা হয়তো অসম্ভব হতে পারে।

 

ভবিষ্যৎতে এই সংকটের কী রূপ দেখা যাবে সে কথাতো আপনারা ছেড়েই দিন বর্তমান সময়েই একশ্রেণীর কৃষক,ব্যবসায়ীগণ খাবারের এত বেশি চাহিদা কি ভাবে পূরণ করা যায় তা নিয়ে নানা পরিকল্পনাগুলি সরকারি ভাবে বেসরকারি ভাবে চেষ্টাগুলি চালিয়ে শস্যখেত গুলিতে জৈবিক সারের বদলে রাসায়নিক সার,উন্নত ধরনের শস্যবীজ কার্যকরী করে এদের সাহায্যে নানা ধরনের Hybrid খাবার বাজারে আনতে শুরু করেছে যার ফলে মানুষের স্বাস্থ্য তো খারাপ হচ্ছেই,এর ফলে খেতের মাটির উর্বরতা,Original শস্যবীজের অস্তিত্ব,প্রকৃতির পরিবর্তনের প্রভাব পৃথিবীর ভারসাম্যের উপর ও এর খারাপ প্রভাব পড়তে শুরু হয়ে গেছে।

 

               

সমস্যা নিবারণের বিকল্প ব্যবস্থাগুলির বর্ণনাঃ


এই কাহিনীর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের পারিবারিক জীবনের সাথে সাথে নিজের এক একটি সময়ে পরিবর্তিত হওয়া চরিত্রের সাথে কি ভাবে নিজের দায়িত্বগুলি বুঝে তাকে সঠিক জায়গায় সঠিক পরিস্থিতি অনুযায়ী পালন করতে হবে তার শিক্ষার সাথে সাথে আমরা যে সমস্ত সংস্কার সম্পন্ন আদর্শ নাগরিকের সাথে সাথে এক সন্তান,এক পিতা,এক মাতা হিসেবে এই সংসারের নিয়ম অনুযায়ী একি ধরণের সমাজে বসবাস করে কী ভাবে বাচা যায় তার জন্য সব সময় নানা পরিস্থিতির সাথে অভিযোজন করতেই থাকি।এইভাবে থাকাকালীন আমরা কখনো ভালো কখনো খারাপ অভিজ্ঞতার ও শিক্ষা পেয়ে থাকি আর এই অভিজ্ঞতাভরা শিক্ষা থেকেই আমরা জীবনের আসল মহত্বটা বুঝতে পারি।  

 

বেঁচে থাকার  জন্য আমরা এই সমাজের এক একটি পরিবারে বিভক্ত হয়ে নিজের নিজের চরিত্রের পরিচয় গুলির মধ্য দিয়ে নিজের চরিত্রের ভূমিকার দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করে থাকি।এই ভুমিকাগুলির দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করতে গিয়ে কখনো কখনো আমরা অনেক ধরণের সমস্যাগুলির ও সামনাসামনি হই কিন্তু এই সব কর্তব্যের দায়িত্ব সুষ্ঠভাবে পালন করার ক্ষেত্রে  জীবনে যতই বড় আঘাতজনক কষ্ট কেননা আসুক সেই কষ্টকে মোকাবিলা করে জীবনের আসল উদ্দেশ্যের দিকে আমাদেরকে সময়ের সঙ্গে এগিয়ে চলে বাচতেই হয়।কিন্তু সময় যতই এগিয়ে যাক বা না যাক আমাদের জীবনে যে রকমেরই চরিত্রের ঢেউ আসুক না কেন আমাদের জীবনে কোনো না কোনো কারণে কষ্টটা এসেই থাকে এক একটি রূপ নিয়ে।আর এই কয়েক ধরণের রূপে আসা  কষ্টকে নিবারণ করতে করতেই চলে যায় আমাদের জিবন।আর আমরা আমাদের জিবনের মূল  উদ্দেশ্য হিসেবে এই কষ্টের নিবারণ প্রাক্রিয়ার মধ্যে হারিয়ে যায়।আর কেউ কেউ নিজেকে এই সব ক্রিয়াচক্রো থেকে উদ্বার করে নিলেও জিবনের উদ্দেশ্য হিসেবে অতিরিক্ত পাওয়ার লোভের আশায় আবার নিজেকে হারিয়ে ফেলে।আর এই ভাবেই মানুষ নিজের আসল দায়িত্ব,উদ্দেশ্য থেকে দূরে সরে যায় ও জীবনব্যাপী কষ্টের নানা সমস্যার সমাধান খুজতে খুজতেই নিজের জিবন অব্দি হারিয়ে ফেলে।

 

আমাদের জিবনে এই অতিরিক্ত পাওয়ার লোভের আশাটাই হল আমাদের আসল কষ্টের কারণ।কেননা আমরা জিবনে যতই সুখসুবিধা,টাকাপয়সা,খাওয়াদাওয়া,পোশাকআশোক, জমিজমা,ঘরবাড়ি,গাড়িঘোড়া,ইত্যাদি যতই থাকুক না কেন তার থেকে আরও বেশি পাওয়ার আশায় আমরা সেই সামনে থাকা জিনিসগুলোর মহত্বটা বুঝতেই পারি না।আর আমরা জীবনে বেঁচে থাকার  ক্ষেত্রে সচেতন হয়ে বা অসচেতন হয়ে অনেক রকমের কাজকর্ম করে থাকি যার মাধ্যমে আমাদের বর্তমানের চাহিদাগুলি ভালোভাবেই পূরণ হয়ে থাকে।আর সেই আমাদের অতিরিক্ত লোভের চাহিদার জন্য আমরা সারা জিবন ধরে বর্তমানকাল থেকে শুরু করে ভবিষ্যৎকাল অব্দি কষ্ট করতেই থাকি একের পর এক বংশ পরম্পরাগত ভাবে।কিন্তু আমরা আমাদের জিবনের চাহিদাগুলি পূরণ করার জন্য সচেতন ভাবে কাজ করার চেয়ে অসচেতন ভাবেই বেশির ভাগ কাজ করে থাকি যার পরিণামে আমরা বেশি থেকে বেশি কষ্ট পেয়ে থাকি।আর এই অসচেতন জিবন যাপনের ফলে আমরাতো কষ্ট পেয়েই থাকি ঠিকই কিন্তু এর ফলে পুরো বিশ্বে এই বিশ্বের মধ্যে থাকা এক একটি জিবের অস্তিত্ব অব্দি কষ্টের সংকটে ঢেলে রেখে দিয়ে থাকি।যেমন,আমরা অতিরিক্ত লোভের ফলে বেশি পাওয়ার আশায় Original সবজির জায়গায় Hybrid সবজির ব্যবহার বেশি করি সুন্দর দেখে খাবারের জন্য এর ফলে কৃষকদের ও কৃষি করার ধরণগুলি পালটে গেছে ও তারা জৈবিক সারের বদলে রাসায়নিক সারের ব্যবহার করতে শুরু করেছে।এর সঙ্গে সঙ্গে খাদ্যশস্যের বীজ গুলিরও নানা বৈজ্ঞানিক  গবেষণার মাধ্যমে খাদ্যশস্য বীজ Original থেকে Hybrid শস্যবীজে পরিণত হতে শুরু হয়ে গেছে এর ফলে শুধু যে খাদ্যশস্য বীজ,সবজি,ফুল,ফল গুলোই পরিবর্তিত হয়েছে তা নয় এর ফলে মাটি তার উর্বরতা হারিয়ে ফেলেছে জায়গায় জায়গায় দেখা দিয়েছে মরুভূমি শুষ্ক বাতাবরণ এর ফলে গাছগুলো মরে গিয়ে বৃষ্টির পরিমাণ কম হয়ে গেছে, জায়গায় জায়গায় গরমের  বৃদ্ধি  হয়ে বরফ গলে দেখা দিয়েছে বন্যা,এই ভাবেই আসতে আসতে আমাদের প্রাকৃতিক আবহাওয়া অব্দি পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে।শুধু যে প্রাকৃতিক আবহাওয়া আর ফসলআদি গুলোর ওপরই এই  প্রক্রিয়ার প্রভাব পড়ে আছে সেই ধারণাটি না আনলেও হবে।কারণ এই অতিরিক্ত পাওয়ার লোভ যাদের মধ্যে আসছে প্রথমে তাদের উপরই হল এই পরিবর্তনের আসল প্রভাব।কারণ Original শস্যআদির বদলে Hybrid শস্যআদির যে প্রকোপ আছে তার মধ্যে এখনকার দিনে কয়েক ধরণের নতুন নতুন খাবারের দ্রব্যআদি গুলোর ব্যবহার আমাদের মধ্যে যে ভাবে বেড়ে গেছে তার ফলে আমাদের ভালো স্বাদের সঙ্গে খাবার খাওয়ার চাহিদা পূরণ হইলেও কিন্তু আমাদের শরীরের উপর এর যে খারাপ প্রভাব পড়ে যাচ্ছে তার উপর আমরা ততক্ষণ অব্দি নজর রাখি না যতক্ষণ অব্দি আমরা নিজে বা আমাদের নিজের পরিবারের সদস্যরা কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়ে  যায়।তবুও আমরা কয়েক দিনের জন্য সজাগ হয়ে যাওয়ার মতন ভ্রান করি কিন্তু আবার ওই আমাদের তৈরি করা খারাপ অভ্যাস গুলোর মধ্যে খাবার খাওয়াটা শুরু করে দি।এর থেকে ও বেশি অসচেতন কাজ আমরা তখন করি যখন আমরা খাবার খাওয়ার থেকে বেশি আমরা খাবার না খেয়ে নষ্ট করে অপচয় করে ফেলে রাখি তার ফলে দেখা দেয় খাদ্যের অভাব,অনিকালের সৃষ্টি আর এই খাদ্যের অভাবের চাহিদা পূরণ করার জন্য কৃষকবর্গের সাথে সাথে ব্যবসায়ীগণ,রাজনীতিবিদদের উপর ও পড়ে যায় এই সমস্যার সংকটের প্রভাবের চাপ যে তারা  কী ভাবে এই বাড়তে থাকা খাবারের চাহিদার অভাব পূরণ করতে পারবে এতো বাড়তে থাকা জনসংখ্যার মধ্যে।দেশের খাদ্যের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে কোনো সমস্যা না হয় এই সংকট থেকে দেশের জনসাধারণকে উদ্ধার করার জন্যই আমাদের দেশের কৃষকবর্গ,ব্যবসায়ীগণ,রাজনীতিবিদগণ বাধ্য হয়ে এই নানা আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণার সাফল্য পরিণামের মাধ্যমে খাদ্যশস্য বীজ Original থেকে Hybrid শস্যবীজে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া,জৈবিক সারের বদলে রাসায়নিক সারের  বৃদ্ধির প্রক্রিয়া গুলোকে আইনগত ভাবে বহিষ্কার করতে পারেনি।

 

বর্তমান দিনে আমরা দেশবাসি এত বেশি সরকার নির্ভর হয়ে গেছি যে নিজেদের অসচেতন ভাবে করে থাকা ক্রিয়াকার্য গুলিও সরকারি ভাবেই তার সমাধান হবে বলে নিজের সচেতন বুদ্ধির মানসিকতাবোধের দায়িত্ব অব্দি হারিয়ে নষ্ট করে ফেলে রেখেছি। 

 

আমাদের কয়েকটি সচেতন বুদ্ধিগুলি হয়তো বর্তমানের সৃষ্টি হওয়া ছোট বড় সঙ্কট গুলির আমরা নিজেরাই নিজেদের মধ্য দিয়েই এই সব সমস্যার সমাধান খুঁজে মোকাবিলা করতে পারবো আর ভবিষ্যতে এই সঙ্কটকে তীব্র রূপে পরিবর্তিত হতে দিব না বলে যদি নিজের আদর্শ নাগরিক হওয়ার দায়িত্ব ভালো ভাবে পালন করতে শুরু করি তাহলে দেশ বর্তমানের সাথে সাথে ভবিষ্যতেও আরো উন্নত শিখরে উচ্চস্থানে নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখতে সক্ষম হবে।আমরা নিজের দেশের আদর্শ নাগরিকের দায়িত্বতো পালন করা দূরের কথা নিজের বাড়ির পরিবারের আদর্শ সদস্য অব্দি হতে পারি না কারণ সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালনের জন্য খাবার  উপার্জন করতে করতে পুরো জীবন পিতামাতা পরিশ্রম,সংঘর্ষ,কষ্টগুলির মধ্যেই তাদের জীবনকে অতিবাহিত করতে দেখেও তাদের সেই কষ্ট  করে এনে থাকা খাবার থালিভরা ভাত খাবার খাওয়ার চেয়ে বেশি নষ্ট করে অপচয় করে ফেলে রেখে থাকি।তার সাথে সাথে নিজেদের আত্মীয়পরিজনের বাড়ি গুলোতে কোনো অনুষ্ঠান আয়োজিত হলে সেখানে খাবারের ব্যবস্থাপনা হলে সেখানেও আমরা আমাদের খাবার নষ্ট করার নতুন Modern Culture ত্যাগ করি না,তার সাথে সাথে বন্ধু বান্ধবীদের সাথে কোথাও বাইরে Hotel,Restaurant গুলিতে কোনো খাবারের আয়োজন হলে আমরা সেখানেও আমাদের খাবার নষ্ট করার Modern Culture ত্যাগ করি না।আর এই ভাবেই বংশ পরম্পরাগত ভাবে নিজের পিতামাতার স্থানে যখন নিজেকেও নিজের পিতামাতার,পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহনের সময় আসে তখন নিজের সন্তানরাও ওই নিজেদের অসচেতন ভাবে গড়ে তোলা খাবারের অপচয় করা নতুন Modern Culture এর মধ্যেই তারাও তাদের জীবনের অভ্যাসগুলির সাথেই বড় হতে শিখে ও এই ভাবেই চলতে থাকে পরিশ্রম,সংঘর্ষ,কষ্ট  করে বেঁচে থাকার পরম্পরা।

 

আমরা আমাদের অসচেতন ভাবে করে থাকা কাজকর্মের জন্যই সারা জীবন ধরে কষ্টের জালে নিজেকে ফাঁসায় রেখে থাকি।শুধু যে খাবার নষ্ট করে দেশের অন্য গরিব খিদায় ক্ষুদিত মানুষদের সাথে সাথে অন্য ক্ষুদিত জীবজন্তদের অব্দি জীবন সঙ্কটের মধ্যে ঢেলে মরার জন্য ছেড়ে রাখার অন্যায় করতেছি।এইটাই শুধু নয় আমাদের অসচেতন ভাবে অতিরিক্ত পাওয়ার লোভ এই সব জিনিসের উপর শুধু মাত্র সীমাবদ্ধ্য থাকলেও তো কিছু সমাধান করা যেত কিন্তু আজকের বর্তমান দিনের মানুষ এত বেশি  নিজের বুদ্ধির বলে অহংকারে অন্ধ হয়ে গেছে যে তারা ভাবতে শুরু করেছে যে এই বিশ্বের সব জিনিসের ওপরই তাদের অতিরিক্ত পাওয়ার অধিকার আছে বলে এই লোভে তারা শুধু যে খাদ্যশস্য প্রক্রিয়ার ওপর তাদের পরীক্ষা,পর্যবেক্ষন করে নিজের স্বার্থ পূরণ করেছে তাই নয়।তারা এই বিশ্বের নানা জীবজন্তদের সাথে সাথে মানুষের সাথে ও তাদের কয়েক ধরণের স্বার্থ পূরণের জন্য কয়েক  নির্দোষ জীবনের প্রাণের বলি দিয়ে দিচ্ছে।এর সাথে সাথে আজকের আধুনিক বিদ্যার আশীর্বাদে মানুষ অবৈধ ভাবে তৈরি করা ঘরবাড়ি,কলকারখানা,জলেরব্যবস্থা,বিদ্যুৎব্যবস্থা, আর্বজনা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যন্তপাতি,গাড়িঘোড়া,Networking System,প্রকৃতির উপর অত্যাচার যে ভাবে ব্যবহার করাটা শুরু করেছে তা দেখে এই জিনিস অনুমান করা এত বেশি অসম্ভব না যে এই সব আমাদের অসচেতন মানসিকবোধের কাজকর্মের ফলে আমরা একদিন ভয়ানক সঙ্কটের মধ্যে পড়ে কয়েকটি জীবজগৎএর সাথে সাথে নিজের পৃথিবী ও নিজেদের অস্তিত্ব অব্দি  বিলুপ্ত করে  ফেলবো  বলে।          

  

আমাদের অসচেতন কাজকর্মের ফলে শুধু যে আমাদের বর্তমানকাল বা ভবিষৎকাল নষ্ট হচ্ছে এই চিন্তাধারার সাথে আমাদেরকে এই জিনিসের উপর ও নজর রাখতে হবে যে এই দুই বর্তমানকাল,ভবিষৎকাল এর মধ্যে আসল ভূমিকা তো মানুষ জাতিরই আছে যে ওরা নিজের  বুদ্ধির অস্তিত্বের বলে পুরো পৃথিবীর সাথে এই ব্রহ্মান্ডের সমস্ত জীবজগৎএর ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে।এর সাথে সাথে পুরো জীবজগতের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব মানুষ জাতির উপর নির্ভর করেই আছে।এই দায়িত্বকে পালন করার জন্য সুস্থ স্বাস্থ্যের মানুষের অবদানের ও খুব দরকার হয় থাকে।

 

কিন্তু যে হারে আজকের ছোট খাদ্য ব্যবস্থা থেকে শুরু করে বড় বড় ক্রিয়াকাজকর্মের ব্যবস্থা অব্দি অসচেতন ভাবে ভেজাল হয়ে গেছে সেই অবস্থা গুলির অনুমান করতে অব্দি ভয় লাগে যে মানুষ নিজের অস্তিত্বের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কল্পনা করে এক একটি সংকটকে অদেখা করে অবহেলার সাথে এগিয়ে চলতেছে সেই উজ্জ্বল ভবিষৎকে  বাস্তবে বাস্তববাহিত হতে দেখার জন্য কী কোনো মানবজাতি জীবিত অবস্থার মধ্যে থাকবে ভবিষৎকে দেখার জন্য।নাকি দেখার তো দূরের কথা সেই উজ্জ্বল আলোর অনুসন্ধানে মানব জাতিই না অন্ধকারে হারিয়ে নিজের অস্তিত্ব অব্দি  বিলুপ্ত করে ফেলবে।       

 

মানবজাতি শুধু নয় সব জীবের মধ্যেই নিজের দরকারের চেয়ে অতিরিক্ত পাওয়ার লোভ থাকে।কিন্তু ওদের পাওয়ার সীমা মানবজাতি সীমাবদ্ধ করে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।কিন্তু মানুষের অতিরিক্ত পাওয়ার সীমার সীমাবদ্ধ নিয়ন্ত্রণ করার ব্যবস্থা কর্তা নেই বললেও চলে তার জন্য হয়তো মানুষ তার পাওয়া থেকে ও অতিরিক্ত পাওয়ার যে লোভ আছে সেই জিনিসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেছে না।হয়তো তার  জন্য প্রকৃতি ওর ভাষাতেই নিজের সাথে হওয়া অত্যাচার এই বিশ্বের সাথে সাথে তার আশীর্বাদে থাকা অন্য নির্দোষ জীবজগৎের উপরে হওয়া অত্যাচারের জন্য এক একটি রূপ নিয়ে নিজেদের প্রতিশোধ নিয়ে নিচ্ছে এক একটি রূপে আশা বিপদ প্রলয়ের মাধ্যমে।এই প্রতিশোধগুলি এক একটি সময়ে এক একটি আকারের নাম নিয়ে আসে কখনো মহামারি,কখনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ,কখনো ধর্মীয় অস্থিরতা,কখনো জাতি নিয়ে ভেদাভেদ,কখনো আতঙ্কি মানসিকতার উৎসাহের বৃদ্ধি নানা কারণে কখনো কখনো যুদ্ধের পরিস্থিতি অব্দি হয়ে যায় এই সব পরিস্থিতির  মধ্যে মানব জাতিরই বিনাশ হয়।যে মানবজাতি নিজের অস্তিত্বকে অতীত থেকে শুরু করে বর্তমান অব্দি নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য অতিবাহিত করে দেয় এক একটি সংকটের মধ্যে ঢেলে রেখে সেই মানবজাতি যদি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিনের জন্য না বেঁচে থাকে তাহলে আমাদের এই সচেতন,অসচেতন ক্রিয়াকার্যের,বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞানের,অতিরিক্ত পাওয়ার বুদ্ধির কী লাভ যে কখনো কখনো সামান্য কয়েকটি মানসিক বিচারের কারণে যুদ্ধের চুক্তিতে সীমাবদ্ধ হয়ে রয়ে যায়।

 

এই সব পরিস্থিতির মধ্যে মানবজাতি নিজেদের অস্তিত্ব না বিলুপ্ত করতে পারে তার জন্য  আমাদেরকে আগেই সচেতন হয়ে উঠতে হবে ও সময়েই নিজেদের কর্তব্য বুঝে সচেতন শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে আদর্শ নাগরিকের মতন নিজের পরিবার,দেশবাসিকেও সচেতন শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।আমাদেরকে অতিশীঘ্রই সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে সব ক্ষেএ গুলিতেই যেমন, অতিরিক্ত গাছপালা রোপণের সাথে সাথে গাছপালার সুরক্ষা,ছোটখাট হলেও নিজের বাড়িতে ফসল সবজি খেতি করার চেষ্টা করা যাতে পরিবার সদস্যরা অল্প হলেও বাড়ির Original Organic ফসল খেতে পারে,খাবার খাওয়ার জন্য ফেলে রেখে অপচয় করার চেয়ে প্রয়োজনের মতন রান্নার ব্যবস্থা করা,কখনো থালিতে খাবার না ছাড়া দরকারের মতন খাবার নেওয়া,যাতে তাড়াতাড়ি আমাদের খাবার ফেলার Modern Culture ত্যাগ করা যায়,কারণ খাবার খাওয়ার Culture হল মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু অব্দি চলে থাকার Culture এই ব্যবস্থা যা চলতেই থাকে একের পর এক বংশ পরম্পরা ধরে,আর প্রয়োজন মতন খাদ্যশস্য উৎপাদন করার জন্য বেশি করে Hybrid এর চেয়ে  Original Organic খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থা  করা যেতে পারে ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে মাটির উর্বরতা বাজায় রেখে এই বিশ্বকে বর্তমানের সাথে সাথে ভবিষৎকালেও চলে আসা নানা প্রকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচিয়ে রক্ষা করা যেতে পারে, এর ফলে প্রকৃতির পরিবেশের শুধু  যে কল্যাণ হবে তাই নয় তার সাথে সাথে মানবজাতির স্বাস্থ্যের ও কল্যাণ হবে আর মানবজাতির কল্যাণ যত হবে ততোই মানুষ নিজের সুস্বাস্থ্য শরীরের সাথে আরও বেশি উন্নতির পথে এগিয়ে  যেতে পারবে।আমাদের ক্রিয়া কাজকর্মের ফল প্রকৃতি ও এই প্রকৃতিতে বসবাস করে থাকা কোনো  জীবজগতের বস্তুর উপর কোনো বিপদ সৃষ্টি না হয় তার দিকে নজর রেখে বর্তমানের সাথে সাথে ভবিষৎকালেরও ক্রিয়াকাজকর্মকে সেই ভাবেই গড়ে তুলার সারণী তৈরি করতে হবে।আর আমাদের মানসিক চিন্তাধারা  উন্নতমানের গড়ে তুলতে হবে যে কোনো মহামারি,প্রাকৃতিক দুর্যোগ,ধর্মীয়,জাতি ভেদাভেদ,আতঙ্কি মানসিকতা কোনো যুদ্ধের পরিস্থিতি সময়ে সময়ে এক একটি রূপ নিয়ে আমাদের সামনে আসলেও আমাদের মানবতাবাদের কল্যাণের মানসিকবোধকে নষ্ট না করতে পারে।আর আমাদের দৈনন্দিন জিবনে করে থাকা আধুনিক বিদ্যার আশীর্বাদের কাজকর্ম ঘরবাড়ি,কলকারখানা,জলেরব্যবস্থা,বিদ্যুৎব্যবস্থা,আর্বজনা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যন্তপাতি,গাড়ি-ঘোড়া,Networking System প্রভৃতি যে সব ব্যবস্থা আছে সেই সব ব্যবস্থাগুলিকে অসচেতনের চেয়ে সচেতন ভাবেই বেশি করে প্রয়োগ করতে হবে।আমাদের জীবনে যাতে মানবজাতির সঙ্গে  অন্য কোনো জীবজগৎ নিজের  অস্তিত্ব নিয়ে ভবিষৎতে গিয়ে সংকটে না পড়ে থাকে।                 

 

কারণ আমরা মানবজাতি এই পৃথিবীতে বসবাস করে বেঁচে থাকি বা ভবিষৎতে চন্দ্রমাতে গিয়ে মানবজাতির অস্তিত্বের বিকাশের বিকল্পকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নতুন বসবাসের পদ্ধতি স্থাপন করে থাকি না কেন তবুও আমরা থাকবতো মানবজাতিই এইখানে হোক বা ওইখানে।

আসল বক্তব্য হল এই যে আমরা যদি পিতামাতা,ভগবানের চেয়েও বেশি আমাদেরকে নিজের নিঃস্বার্থ মায়ার আশীর্বাদে সযত্নে করে সব সময় কোলে রেখে থাকেন এই পৃথিবী মাতা যিনি আমাদের আসল সৃষ্টিকর্তা উনি আমাদের সচেতন হোক বা অসচেতন ভাবে করে থাকা ক্রিয়াকাজকর্মকে চুপচাপ কয়েক দশক ধরে সয্য করে বসে আছেন নিজের উন্নত গুনের অস্তিত্বের সাথে আমাদের সঙ্গেই থেকে আছেন।সেই পৃথিবীমাতাকেও যদি আমরা ধ্বংস করে যেতে পারি, তাহলে কী আমরা যে নতুন ভবিষৎতের প্রজন্মের জন্য যে স্বপ্ন দেখতেছি সেখানে গিয়েও কী এই রকমেরই নিজেদের স্বার্থের জন্য অন্য একটি স্থান তৈরী করবো আর সেই গ্রহের ও কী ধ্বংসের কারণ  আমরাই হয়ে দাঁড়াবো।                      

 

 

"বর্তমানে হোক বা ভবিষৎতে ইতিহাসের পাতায় যদি মানবজাতির কৃতিত্বকে স্বর্ণ অক্ষরে রচিত করা হয় তাহলে মানবজাতিকে এই পৃথিবীর সাথে পুরো ব্রহ্মান্ডের জীবজগতের  সুরক্ষাকর্তা হিসেবেই পরিচিত করা হোক নাকি ধ্বংসকর্তা বলে।" 


    

2 views0 comments

Recent Posts

See All
Post: Blog2 Post
bottom of page